বিগত পাঁচ বছরে বিশ্বের ফুসফুস হিসেবে খ্যাত অ্যামাজনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কয়েক দশকেও হয়নি। আর সেই ক্ষতির দায় পড়েছে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মানুষের জীবনহানির সঙ্গে বনভূমি ধ্বংসকে যুক্ত করার প্রথম ঘটনা এটি। অস্ট্রিয়ার পরিবেশগত ন্যায়বিচার প্রচারক সংগঠন অলরাইজ গতকাল সকালে হেগভিত্তিক আদালতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে। অ্যামাজনে বনভূমি পোড়ানো ও কৃষি খাত থেকে যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়, তা ইতালি বা স্পেনের মোট বার্ষিক নির্গমনের চেয়ে বেশি। বন উজাড়ের ফলে এ অঞ্চলে যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, তা বাকি অ্যামাজন শোষণ করতে পারে না। অলরাইজের পক্ষ থেকে বলসোনারো ও তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবগুলোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বলসোনারোর বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ব্রাজিলীয় নেতা ব্যাপক প্রচার চালিয়ে পরিবেশের রক্ষকদের হত্যা করেছেন এবং বন উজাড়ের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে বিশ্বের জনগোষ্ঠীকে বিপন্ন করে তুলছেন। বলসোনারোর প্রশাসন অ্যামাজনকে রক্ষার জন্য কাজ করে এমন আইন, সংস্থা ও ব্যক্তিদের পদ্ধতিগতভাবে অপসারণ, অকার্যকর ও নির্মূল করার চেষ্টা করছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবছর চার হাজার বর্গকিলোমিটার রেইন ফরেস্ট ধ্বংসের জন্য দায়ী বলসোনারো। ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে বনভূমি ধ্বংসের হার বেড়েছে ৮৮ শতাংশ।