বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
আফগানিস্তান সংকট

স্বীকৃতি নয়, তালেবানকে অর্থ দেবে জি-২০

স্বীকৃতি নয়, তালেবানকে অর্থ দেবে জি-২০

জি-২০ সম্মেলনে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় অ্যাঙ্গেলা মেরকেল

তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে অবশেষে একে একে বসল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তার সঙ্গে যুক্ত হলো বিশ্বের ১৯টি প্রধান অর্থনীতির দেশ ও ইইউকে নিয়ে গঠিত জি-২০ জোট। সংস্থাটির বর্তমান সভাপতি রাষ্ট্র ইতালি। তারাই সম্মেলনটির আয়োজন করে। তবে কেউই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল না। কিন্তু দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে। তারা আপাতত আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে ১ বিলিয়ন ইউরো বা সোয়া বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন, আফগানিস্তানকে বিশৃঙ্খলার দিকে যেতে দেওয়া উচিত হবে না। তিনি দেশটিতে ৬০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মানবিক সংকট এড়াতে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ৬০ কোটি ডলার জোগানোর জন্য জাতিসংঘের আহ্বানের মধ্যেই মঙ্গলবার এ ভার্চুয়াল সম্মেলনে মিলিত হন জি-২০ নেতারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে হবে স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে; ক্ষমতায় থাকা তালেবানের মাধ্যমে নয়।

আফগানিস্তানের সংকট নিরসনে বৈঠকে অংশ নেওয়া জোটভুক্ত দেশগুলো বেশ কিছু বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে একমত হয়েছে। সংকটের মধ্যে রয়েছে- বিদেশে রিজার্ভ আটকে থাকা, ব্যাংকগুলোর তহবিল ফুরিয়ে আসা, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দিতে না পারা ও খাদ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া। এতে দেশটির লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকার ঝুঁকিতে পড়েছে। আসছে শীতে সংকট বাড়বে।

দাতারা অবশ্য তালেবানের কাছে না দিয়ে আফগানিস্তানে কাজ করে এমন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে এ অর্থ দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে। কারণ তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এখনো কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি। জি-২০-এর থেকেও সাধারণত জাতিসংঘের মাধ্যমে এসব সহায়তা দেওয়া হয়। তবে সহযোগিতা হিসেবে সরাসরি কোনো দেশকে যে অর্থ সহায়তা দেয় না এমনটাও অবশ্য নয়। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা বলছে, খরা, নগদ অর্থের স্বল্পতা ও খাবারের সংকটের কারণে এখন আরও বেশি মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির চালানো এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৯৩ শতাংশ আফগান টাকার অভাবে পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছেন না।

সর্বশেষ খবর