শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

আফগানিস্তান অস্থিতিশীল করছেন ইরাক-সিরিয়া থেকে আসা জঙ্গিরা

জানালেন পুতিন - এসব সন্ত্রাসী আফগানিস্তান থেকে প্রতিবেশীদের ওপর সরাসরি হামলাও চালাতে পারে

আফগানিস্তান অস্থিতিশীল করছেন ইরাক-সিরিয়া থেকে আসা জঙ্গিরা

আফগানিস্তান তালেবানের দখলে এসেছে মাস দুয়েক হলো। তবে এত দিনেও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো সরকার। এর মধ্যে প্রায়ই সন্ত্রাসকান্ডে কেঁপে উঠছে দেশ। ঘটছে প্রাণহানি। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামী স্টেট (আইএস) এর দায় স্বীকার করছে। যদিও আফগানিস্তানে এর নাম ইসলামী স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে)। এরই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন দাবি করলেন, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে। বুধবার দেশের নিরাপত্তাপ্রধানদের সঙ্গে এক কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি। পুতিন বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক ও সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসীরা (আইএস) ‘সক্রিয়ভাবে’ আফগানিস্তানে ঢুকছে। আর এ কারণে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। তার মন্তব্য, সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এসব সন্ত্রাসী আফগানিস্তান থেকে প্রতিবেশীদের ওপর সরাসরি হামলাও চালাতে পারে। পুতিনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলেন তাজিকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান সাইমুমিন ইয়াতিমভও। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে তার দেশে মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালানের জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১৫ আগস্ট কাবুলের ক্ষমতা নেয় তালেবান। এর পর  থেকেই  আতঙ্কের  মধ্যে রয়েছে

মধ্য এশিয়ার দেশগুলো। সেখানে সরাসরি স্বার্থ রয়েছে রাশিয়ার। ফলে কপালে ভাঁজ দেখা যাচ্ছে রুশ নেতাদের মধ্যেও। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোয় রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ঘাঁটি রয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হলেও এ দেশগুলো এখনো রাশিয়ার ছায়াতেই রয়ে গেছে। তালেবান যদিও রাশিয়াকে বারবার আশ্বস্ত করেছে এসব দেশে সন্ত্রাসী রপ্তানি করবে না তারা; তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারছে না তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান।

তুরস্কে তালেবানের প্রতিনিধি দল : বিভিন্ন ইসু্যুতে আলোচনার জন্য তালেবানের একটি শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছেছে। এরই মধ্যে তালেবান সরকার বিভিন্ন দেশের সমর্থন ও স্বীকৃতি পেতে কূটনৈতিক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি বলেন, তারা সাহায্য, অভিবাসন, বিমান পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও  দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবেন।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাতুসোগলুর আমন্ত্রণেই তালেবানের প্রতিনিধি দল এ সফরে গেছে বলে জানান তিনি।

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে তালেবান সরকার। মোল্লা আমির খান মুত্তাকি জানিয়েছেন, তারা বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা ভারসাম্যের নীতি নিয়ে চলতে চাই। একমাত্র এ নীতিই আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারে।’

ইইউর সঙ্গে বৈঠকের আগে তালেবানের নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। বৈঠকে ‘স্পষ্ট ও পেশাদার’ আলোচনা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কাতারের দোহায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তালেবানকে কথা দিয়ে নয়, কাজে প্রমাণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর