শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

সীমান্তে আরও বেপরোয়া হওয়ার ক্ষমতা পেল বিএসএফ

সীমান্তে বিএসএফের আচরণ নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এবার সেই বিতর্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে বিএসএফের সংঘাত তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মন্তব্য, এ ক্ষমতা আরও বেপরোয়া করে তুলবে বিএসএফকে। অবশ্য পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের এ নোটিসের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, বিএসএফের হাতে এতটা ক্ষমতা তুলে দেওয়ার অর্থ দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অবজ্ঞা করা। বুধবার কেন্দ্র যে গেজেট প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এতদিন তারা সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে নজরদারি চালাতে পারত। গ্রেফতার বা তল্লাশি চালাতে পারত। নতুন নিয়মে তারা সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার অঞ্চল পর্যন্ত নজরদারি চালাতে পারবে। স্থানীয় পুলিশকে উপেক্ষা করে বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশি চালাতে এবং গ্রেফতার করতে পারবে।

সীমান্তে চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশ রুখতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রের দাবি।

বিতর্কের কারণ : সীমান্তে পাচারের সঙ্গে বিএসএফ যুক্ত, এমন অভিযোগ এর আগে উঠেছে। কিছুদিন আগে বিএসএফের এক অফিসার পশ্চিমবঙ্গে ধরাও পড়েছেন। এ ছাড়া সীমান্ত হত্যার অভিযোগও বারবার উঠেছে। সীমান্ত হত্যার অভিযোগ বাংলাদেশ যেমন তুলেছে, তেমনই ভারতে সীমান্তে বসবাসকারী নাগরিকরাও তুলেছেন। বিএসএফের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এ বিতর্ক আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

সমাজকর্মী কিরিটি রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢোকার অর্থ সম্পূর্ণ লোকালয়ে ঢুকে পড়া। সেখানে স্থানীয় পুলিশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার কথা। বিএসএফ সেখানে ঢুকলে বিতর্ক বাড়বেই। বিএসএফের অত ভিতরে ঢুকে কাজ করার কথাও নয়। তাদের কাজ কেবলমাত্র সীমান্ত রক্ষা করা।’

সর্বশেষ খবর