শিরোনাম
রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

অভিবাসীদের জন্য ইউরোপের সীমান্ত খুলে দিচ্ছে বেলারুশ!

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ‘পর্যটন’ ভিসা দিয়ে ইউরোপে ঢুকতে সাহায্য করছে বেলারুশ। দেশটির বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জারি করা নিষেধাজ্ঞার পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পথে জার্মানিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এমন একটি দলকে অনুসরণ করে বিবিসি। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বাম থেকে ডানে ঘুরে যাচ্ছে, কিন্তু কেউ নড়ছে না। পথ চলায় ক্লান্ত পরিশ্রান্ত মানুষগুলো গাছের ফাঁকে ফাঁকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে শুয়ে আছেন। জামিলের মাথাটা তার হাতের ওপর রাখা, স্ত্রী রোশিন তার পাশেই গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে। অন্যদের দেখে মনে হচ্ছে পড়ে থাকা লাশ। জঙ্গলের ওপর ছড়িয়ে আছে শেষ বিকালের আলো। পাইন গাছের ঘন বনকে মনে হয় প্রকৃতির তৈরি কয়েদখানা। এ মানুষগুলো ভোর ৪টা থেকে এক নাগাড়ে পথ হেঁটেছে।

জামিলের চাচাতো ভাই ইদ্রিস বলছিলেন, ‘আমরা বিধ্বস্ত, পুরোপুরি বিধ্বস্ত।’ তার কণ্ঠস্বর ভাবলেশহীন, অনেকটা যন্ত্রের মতো। সিরীয় কয়েকজন বন্ধুর এ দলটি ঘন জঙ্গল আর দুর্গন্ধময় জলাভূমি পার হয়ে এখানে এসে পৌঁছেছে। পাচারকারীদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎটা তারা কোনোক্রমে এড়াতে পেরেছেন। কিন্তু খাবার ও পানি একেবারেই শেষ। ঠান্ডায় তাদের শরীর অবশ হয়ে গেছে। কিন্তু আগুন জ্বালানোর সাহস নেই। বেলারুশ থেকে সীমান্ত পার হয়ে তারা পোল্যান্ডে পৌঁছেছেন। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ইইউ জোটভুক্ত দেশে ঢুকতে পেরেছেন। কিন্তু তারপরও তারা নিরাপদ নন। কারণ হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী, যাদের সীমান্ত পার হয়ে পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া এবং লাটভিয়ায় ঢুকতে যারা উৎসাহিত করছে বেলারুশ তাদের ঠাঁই হয়েছে বন্দী শিবিরে। পোল্যান্ডের জঙ্গলে তীব্র শীতে শরীরের তাপমাত্রা বিপজ্জনক মাত্রায় নেমে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত সাতজনের। ইদ্রিস এবং তার বন্ধুরা সেপ্টেম্বরের শেষে উত্তর ইরাক ছাড়ার সময় থেকে বিবিসি ওদের যাত্রার ওপর নজর রেখেছে।

সর্বশেষ খবর