সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু ও করোনা নীতি নির্ধারণে রোমে জি-টোয়েন্টি নেতারা

কপ-২৬ বৈঠকের মধ্যেই বসছে বিশ্ব নেতাদের এই আসর

ইতালির রোমে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জি-টোয়েন্টি সম্মেলন। করোনার বড় ধাক্কা পেরিয়ে প্রথমবারের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোর সরকার প্রধানরা একসঙ্গে বসলেন। স্বভাবতই কভিড সংকট ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ইস্যুটি সেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।

কপ-২৬ বৈঠকের মধ্যেই বসছে বিশ্ব নেতাদের এই আসর। তাই জলবায়ু সংকট, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনাগুলোও উঠে আসবে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে। পাশাপাশি বৈশ্বিক নেতারা দীর্ঘ বিরতিতে নিজেদের মধ্যে দেখা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যার যার সম্পর্কও ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। যেমন- জার্মানির অন্তর্বর্তীকালীন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতে মিলিত হবেন। বৈঠক করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গেও। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুটিন ও  চীনের শি জিন পিং অবশ্য সশরীরে থাকছেন না রোমে, তারা যোগ দেবেন ভিডিও লিংকের মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারত, ব্রাজিলের মতো দেশগুলো নিয়ে জি-টোয়েন্টি বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৮০ শতাংশের ভাগিদার। ৬০ শতাংশ জনসংখ্যার ভার আর ৮০ শতাংশ কার্বন নির্গমণেরও দায়ও তাদের।

ঐতিহাসিক করপোরেট ট্যাক্স  চুক্তিতে সম্মত বিশ্বনেতারা : জি-২০ জোটের নেতারা বিশ্বের বড় করপোরেশন বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর লাভের ওপর ১৫ শতাংশ কর নির্ধারণে সম্মত হয়েছেন। মূলত ‘লো ট্যাক্স জুরিসডিকশন’ বা স্বল্প করের এখতিয়ারে যেন প্রতিষ্ঠানগুলো কর ফাঁকি দিতে না পারে, সে উদ্দেশ্যেই এমন চুক্তিতে পৌঁছেছেন তারা।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ঐতিহাসিক চুক্তিটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ এবং এই চুক্তির মাধ্যমে করপোরেট ট্যাক্সেশনে লোকসানের অবসান ঘটবে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, মার্কিন কোম্পানিগুলোকে আরও বেশি কর দিতে হলেও এই চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ী এবং কর্মীরা উপকৃত হবেন। বিবিসি

সর্বশেষ খবর