বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচন

চারটির তিনটিতে জামানত হারাল বিজেপি

দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবা- আসনে উপনির্বাচনের ভোট গননা ছিল গতকাল

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে বিজেপিকে বিপর্যস্ত করে চারটিতেই জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। গত শনিবার দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবা-এই চার আসনে উপনির্বাচন হয়। গতকাল ছিল তার গণনা। কিন্তু চারটি আসনের কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল রাজ্যের প্রধান বিরাধী দল বিজেপি। তিনটি আসনে জামানত হারায় বিজেপি প্রার্থীরা।

চার কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রটি হল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ‘খড়দহ’ বিধানসভার কেন্দ্র। এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় তৃণমূলের প্রার্থী রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি। তিনি বিজেপির প্রার্থী জয় সাহাকে প্রায় ৯৪ হাজার ভোটে পরাজিত করেন।

অন্যদিকে ‘গোসাবা’ কেন্দ্রেও বিপুল ভোটে জয়  পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত ম ল ১ লাখ ৪৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন। গত মার্চ-এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে এই দুই কেন্দ্রেরই তৃণমূল প্রার্থীরা জয় পেলেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই জয়ী প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে। অন্যদিকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরচিত ‘শান্তিপুর’ ও ‘দিনহাটা’ বিধানসভা কেন্দ্র দুইটিতেও ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। শান্তিপুর কেন্দ্রে প্রায় ৬৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজ কিশোর গোস্বামী এবং দিনহাটা কেন্দ্রে ১ লাখ ৬৪ হাজার ভোটে তৃণমূলের টিকিয়ে জয় পেয়েছেন উদয়ন গুহ। এই জয়ের ফলে রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি পেল।

রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভায় আসনের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে এল ২১৭টি আসন। অর্থাৎ তাদের বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হল ২১৭।

অন্যদিকে বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি ৭৭ আসনে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুই বিধায়কের পদত্যাগ ও পাঁচ বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের ফলে গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭০।

এদিকে চারকেন্দ্রের ফলাফলকে মানুষের জয় বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল প্রধান ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি। ট্যুইট করে দলের জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন ‘চারজয় জয়ী প্রার্থীকেই আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এই জয় মানুষের জয়। এটা দেখিয়ে দিল যে বাংলা সবসময় মিথ্যা প্রচার ও ঘৃণার রাজনীতির বদলে উন্নয়ন ও ঐক্যকে বেছে নেবে। মানুষের আশীর্বাদে আমরা বাংলাকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

যদিও এই জয়ের পর তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার অভিযোগ বিজেপির প্রার্থীদের ঠিকমতো প্রচারণা করতে দেওয়া হয়নি। ওই চার কেন্দ্রেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে। সেই কারণেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

সর্বশেষ খবর