সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদীর খাঁড়িতে প্রচুর কাঁকড়া ও সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। এগুলো শিকার করে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করেন। এখন ১ কেজি কাঁকড়ার দাম ৪০০ রুপি। সামুদ্রিক মাছেরও বেশ ভালো দাম পান তাঁরা। এজন্য বাঘের সঙ্গে লড়াই করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করে আসছেন মৎস্যজীবীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করতে গিয়ে বাঘের মুখে পড়ে জীবন দিতে হয় তাঁদের অনেকের।
পশ্চিমবঙ্গের বন দফতরের হিসাব অনুসারে সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করতে গিয়ে গত দুই বছরে ৩০ মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া চার-পাঁচ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বাঘের আক্রমণে বেশি মৃত্যু হয়েছে গোসাবা, পীরখালি, ঝিলা, লাহিড়ীপুর, সাতজেলিয়াসহ আশপাশ এলাকায়।
পশ্চিমবঙ্গ বন দফতরের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এখন ৯৬টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের ২০ রাজ্যে বাঘের জন্য সংরক্ষিত ৫৩টি এলাকায় মোট বাঘের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৭। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা নিয়ে সুন্দরবনের অবস্থান। সুন্দরবনের মোট আয়তনের বেশিরভাগ পড়েছে বাংলাদেশে।