মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ওমিক্রন কতটা উদ্বেগের?

পাঁচ তথ্য জানাল হু

ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের পর করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আফ্রিকায়      প্রথম চিহ্নিত হয়েছে ভাইরাসের এ নতুন রূপ। তারপর হংকং ও ইসরায়েলে আফ্রিকাফেরত পর্যটকদের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতি মেলে। এ রূপ উদ্বেগের পরিস্থিতি  তৈরি করতে পারে বলে ইতিমধ্যে সব দেশকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু।

তবে ওমিক্রন নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁপছে তখনই আশ্বস্ত করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এক চিকিৎসক। তিনিই দিন কয়েক আগে ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যেসব রোগীর চিকিৎসা করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি অপরিচিত লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু লক্ষণগুলো হালকা ছিল। রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু এখনো ভাইরাসের নতুন রূপের ভয়াবহতা সম্পর্কে পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে এ স্ট্রেইন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে হু। সংস্থাটি বলেছে, জিনের বিন্যাসের একাধিকবার বদল ঘটানোয় মনে করা হচ্ছে করোনার এ রূপ উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। দেখে নেওয়া যাক ওমিক্রন সম্পর্কে কী জানিয়েছে হু।

১। আগে যারা কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তারা ফের খুব সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন ওমিক্রনে।

২। এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্যের দেহে যে ভাইরাস সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে সে ভাইরাস তত বেশি সংক্রামক। তবে ডেল্টা এবং অন্য রূপের তুলনায় ওমিক্রন বেশি সংক্রামক কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এ রূপকে ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে হু।

৩। কভিডের বিভিন্ন টিকার ওপর এ ভাইরাসের প্রভাব কতটা তা জানার জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে হু।

৪। করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আরও জটিল রোগ ঘটাবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। করোনার অন্য রূপে আক্রান্ত হলে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার থেকে আলাদা কোনো উপসর্গ ওমিক্রন ডেকে আনছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।

৫। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য জানাচ্ছে, কভিডে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বেড়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেবল ওমিক্রনের জন্য এ বৃদ্ধি কি না তা বলার পর্যাপ্ত তথ্য এখনো নেই বলে মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন তিনি ১০ দিন ধরে প্রায় ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা করছেন। যাদের প্রত্যেকেই করোনাভাইরাসের  জন্য ইতিবাচক পরীক্ষা করেছিলেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু অপরিচিত লক্ষণ রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ওই স্ট্রেইনে আক্রান্তদের মধ্যে প্রবল ক্লান্তি ছিল, পেশিতে মৃদু ব্যথা, গলা ব্যথা ও শুকনো কাশি হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর