রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দক্ষিণ আফ্রিকায় বেশি সংক্রমিত হচ্ছে শিশুরা

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ে শিশুদের ব্যাপক সংখ্যায় হাসপাতালে ভর্তিতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ মৃদু হওয়ায় আতঙ্কিত না হয়ে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়াসহ দেশটির মেট্রোপলিটন এলাকা সোয়ানে করোনায় আক্রান্ত ব্যাপক সংখ্যক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর ফলে করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শিশুদের জন্য বেশি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

তবে এই ভ্যারিয়েন্টে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি। তবে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এতে অন্যান্য কারণও ভূমিকা রাখতে পারে। দেশটির গাউতেং প্রদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সাকিসি মালুলেকে বলেছেন, প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ১ হাজার ৫১১ জন শিশুর মধ্যে ১১৩ জন শিশু রয়েছে; যাদের বয়স ৯ বছরের নিচে। শিশুদের করোনায় আক্রান্তের এই অনুপাত সংক্রমণের আগের ঢেউয়ের তুলনায় অনেক বেশি।

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমরা চিকিৎসকদের প্রতিবেদনে স্বস্তি পেয়েছি যে, শিশুদের মৃদু উপসর্গ আছে। তবে তরুণ এবং শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গবেষণা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এসব বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন এই চিকিৎসক। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অল্প সংখ্যকের নমুনা জিনগত বিন্যাসের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া শিশুরা কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তা এখনো দেশটির কর্মকর্তারা জানেন না। সম্প্রতি ভর্তির ঢেউ দেখা গেলেও গোয়েতেংর কভিড-১৯ হাসপাতালের মাত্র ১৩ শতাংশ শয্যায় রোগী আছে বলে জানিয়েছেন মালুলেকে। ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কী ধরনের গুরুতর অসুস্থতা তৈরি হচ্ছে অথবা এটি বিদ্যমান ভ্যাকসিনপ্রতিরোধী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে কি না, তা জানতে বিজ্ঞানীরা এখনো কাজ করছেন। বিশ্বের অন্তত ৩৮টি দেশে ইতিমধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তবে কোনো দেশেই এখন পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে কেউই মারা যাননি বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর