বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

‘সবচেয়ে বড় সাংবাদিক নিপীড়ক চীন’

মহামারীকালে বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের বিধিনিষেধ পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে

চীন ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাংবাদিক নিপীড়ক’। আর করোনা মহামারীকালে বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের বিধিনিষেধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) নতুন এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে বর্তমানে অন্তত ১২৭ জন সাংবাদিক কারাগারে বন্দী আছেন। চীন বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ‘নিপীড়নের ভয়ংকর কর্মসূচি’ চালাচ্ছে। যদিও চীন সাংবাদিক ও নাগরিক সাংবাদিকদের এই গ্রেফতারের স্বপক্ষে অজুহাত দেয় এই বলে যে, গ্রেফতারকৃতরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে উসকানি দিয়েছে। করোনা নিয়ে প্রতিবেদন করায় উহানের    অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ও অনলাইন কমেন্টেটরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন সাবেক আইনজীবী ঝ্যাং ঝান। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় উহানের জীবন নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দার অনলাইন পোস্ট পড়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।

কর্তৃপক্ষের হুমকি সত্ত্বেও সেখানে পৌঁছেই তিনি রাস্তাঘাট ও হাসপাতালে যা যা দেখেছেন তা লাইভ করতে ছিলেন এবং অনলাইনে সে সম্পর্কে লিখতে ছিলেন। তার করা ওই প্রতিবেদনগুলো সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি ‘ঝগড়া বাধানো ও সমস্যাকে উসকানি’ দিয়েছেন। ৪২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে আরএসএফ এটাও দেখিয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষ কিভাবে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ স্লোগানকে ব্যবহার করে জিনজিয়াং নিয়ে প্রতিবেদন করা উইঘুর সাংবাদিকদের গ্রেফতার করেছে। চীনের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ উইঘুর অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়। আর চীন বলে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইসলামি উগ্রপন্থিদের নির্মূল করে।

কোন কোন কৌশলে সাংবাদিকদের ওপর দেশটি নিপীড়ন চালায় তাও প্রতিবেদনে তালিকা করে দেখানো হয়েছে। যেমন- সাংবাদিকদের আক্রমণ করতে  বিদেশে থাকা কূটনৈতিক মিশনকে ব্যবহার করা, সংবাদমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা, বিভিন্ন বিষয়ের উপর নজরদারি আরোপ, জোরপূর্বক স্থানীয় সাংবাদিকদের কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ পড়ানো, মুঠোফোনে প্রোপাগাণ্ডা অ্যাপ ডাউনলোড করানো এবং সাংবাদিকদের বহিষ্কার বা ভয় দেখানো।

 

 

সর্বশেষ খবর