শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কভিড চিকিৎসায় তিনটি নতুন ওষুধ

ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি জেভুডি, কিনারেট ও ফাইজারের একটি ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে

কভিড চিকিৎসায় আশার কথা শুনিয়েছে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি বা ইএমএ। সংস্থাটি এই রোগের চিকিৎসায় তিনটি নতুন ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন অপেক্ষা শুধু ইউরোপীয় কমিশনের ছাড়পত্রের।

সংস্থাটি জানিয়েছে, দুটি নতুন ওষুধ কভিডের সাধারণ চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি ওষুধ কেবলমাত্র অতি জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কী কী ওষুধ : প্রথম ওষুধটির নাম জেভুডি। ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এবং মার্কিন সংস্থা বির বায়োটেকনোলজি যৌথ উদ্যোগে এই ওষুধটি তৈরি করেছে। বৈজ্ঞানিক ভাষায় ওষুধটি মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি মেডিসিন। ইএমএ জানিয়েছে, এই ওষুধ ব্যবহার করলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষণাগারে তৈরি প্রোটিনজাত এই ওষুধ  প্রথম কভিডের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়নি। এর  আগে ইএমএ এই ধরনের আরও দুটি ওষুধকে  ছাড়পত্র দিয়েছিল।

দ্বিতীয় ওষুধটির নাম কিনারেট। সুইডেনের ফার্মা কোম্পানি বায়োভিটরাম তৈরি করেছে এই ওষুধটি। শ্বাসনালির জন্য তৈরি হয়েছে এই ওষুধ। কভিড ভাইরাস শ্বাসনালির মধ্য দিয়ে গিয়ে ফুসফুসে বাসা বাঁধে। সে কথা মাথায় রেখেই শ্বাসনালিকে ভাইরাসমুক্ত রাখার জন্য তৈরি এই ওষুধ কভিডের চিকিৎসায় যথেষ্ট কার্যকরী বলে মনে করছে ইএমএ।

তৃতীয় ওষুধটি তৈরি করেছে ফাইজার। এই ওষুধটি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তবে ইএমএ জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধটি দেওয়া যেতে পারে। তবে ছোটদের জন্য এই ওষুধ নয়। যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না কেবল তাদেরই এই ওষুধ দেওয়া যাবে। ওষুধের নাম প্যাক্সলোভিড। কভিডের লক্ষণ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এই ওষুধের ব্যবহার শুরু করে দিতে হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের ছাড়পত্র : ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংস্থা ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। তারা ছাড়পত্র দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় কমিশনকে ছাড়পত্র দিতে হবে। তারপরই বাজারে আসবে তিনটি নতুন ওষুধ। ওমিক্রন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ইউরোপ। ফ্রান্স যুক্তরাজ্য থেকে সে দেশে ঢোকার ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে। জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কভিডের চতুর্থ ঢেউ চলছে। এই পরিস্থিতিতে তিনটি নতুন ওষুধ মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে।

সর্বশেষ খবর