বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চীন-পাকিস্তানের হামলা মোকাবিলায় ভারতের এস-৪০০ মোতায়েন

চীন-পাকিস্তানের হামলা মোকাবিলায় ভারতের এস-৪০০ মোতায়েন

আকাশ থেকে আসা যে কোনো হামলা প্রতিরোধে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা রুশ এস-৪০০। সেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা মোতায়েন করলো ভারত। সরকারি সূত্রের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, চীন ও পাকিস্তান থেকে আকাশ পথে আসা হুমকি মোকাবিলায় পাঞ্জাব সেক্টরে এই প্রতিরক্ষা মোতায়েন করা হয়েছে। এই মাসের শুরু থেকেই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির সরঞ্জাম ভারতে পৌঁছানো শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এগুলো ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে। ৩৫ হাজার কোটি রুপিতে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পাঁচটি স্কোয়াড্রন কিনেছে ভারত। ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার হুমকি প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে এটির।

এএনআই জানিয়েছে, প্রথম স্কোয়াড্রন মোতায়েনের পর ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে নজর দেবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রাদেশিক কর্মীদের দেশের অভ্যন্তরেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর রাশিয়ার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানায়, পাকিস্তান ও চীনের আকাশসীমা থেকে কোনো হুমকি এলে তা প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার। রাশিয়া ইতিমধ্যে ভারতকে আশা করা হচ্ছে, এ বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া চুক্তি অনুযায়ী সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের কাজ শেষ করতে পারবে।

বিজনেস টুডের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চারটি ভিন্নধর্মী বিমান নিয়ে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এটি শত্রু বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার এডব্লিউএসিএস বিমান প্রতিরোধে সক্ষম। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ পাল্লার একটি নজরদারি রাডার রয়েছে। এটি উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করতে এবং তা নিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে পারে। এরপর লক্ষ্যবস্তুর অবস্থান বিবেচনা করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ওই রাডারটিই ক্ষেপণাস্ত্রকে দিকনির্দেশনা দিয়ে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছে দেয়।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থারই উন্নত সংস্করণ। এক সময় শুধু রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ছিল। এর প্রস্তুতকারক কোম্পানি আলমাজ আন্তে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি।

এর আগে তুরস্কের কাছে এস-৪০০ বিক্রি করেছে রাশিয়া। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে দেশটি। তবে ভারত বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই ভারতের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে।

সর্বশেষ খবর