সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

তৃণমূলে বিরোধ চরমে

তৃণমূলে বিরোধ চরমে

মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস এখন পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ছে। বাড় বাড়ন্ত এখন সেই দলে। আর সেই দলে মমতার পরই অঘোষিত দুই নম্বর নেতা এখন মুখ্যমন্ত্রীর ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি। কিন্তু অভিষেকের সঙ্গে অনেক নেতারই দূরত্ব বাড়ছে। দলের প্রবীণ সাংসদ ও লোকসভার চিফ হুইপ কল্যাণ ব্যানার্জির বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সেই বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন সাবেক সাংসদ ও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।

সম্প্রতি অভিষেক বলেছিলেন, তার অভিমত করোনাভাইরাস আবার বাড়ছে। তাই এই সময়ে পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হোক। বড় জমায়েতের অনুমতিও বন্ধ করে দেওয়া হোক। যেভাবে গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছে, অভিষেক তার বিপক্ষে। এই সময়ে গঙ্গাসাগর মেলার মতো বিশাল জমায়েত তিনি চাইছেন না। অভিষেক অবশ্য জানিয়েছেন, এটা তার ব্যক্তিগত মত। কিন্তু বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি চিপ হুইপ কল্যাণ। এই মতামতের সমালোচনাও করেন কল্যাণ; যা নিয়ে তৃণমূলে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। কী বলেছেন কল্যাণ : কল্যাণের বক্তব্য, অভিষেক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এই পদে থেকে তিনি ব্যক্তিগত মন্তব্য করতে পারেন না। তারও নানা বিষয়ে ব্যক্তিগত মত আছে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলার কারণেই তিনি তা প্রকাশ্যে বলেন না। কল্যাণের মতে, অভিষেক যা বলেছেন, তা মমতার বিরোধিতা করার শামিল। এভাবে তিনি রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। কল্যাণ সরাসরি অভিষেকের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কাউকে নেতা বলে মানেন না। তবে তিনি পদকে সম্মান করেন। অভিষেক যদি ত্রিপুরা ও গোয়া জিতিয়ে আনতে পারেন, তাহলে তাকে তিনি নেতা হিসেবে মানবেন। কুণালের বক্তব্য : কল্যাণের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘দলের সর্বাধিনায়ক মমতা ব্যানার্জির পরেই আছেন অভিষেক। তিনি কিছু বললে, আমাদের মতো সাধারণ কর্মীদের তা মুখ বন্ধ করে শোনা উচিত।’

মমতা চুপ : ভাতিজা ও দলের প্রবীণ সাংসদের ঝগড়ায় মমতা এখনো পর্যন্ত একটা কথাও বলেননি। দলও তাকিয়ে আছে মমতার দিকে। ডয়চে ভেলে

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর