ইউক্রেনের বেশ কিছু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ অভিযোগ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস। এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, এসব হামলায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। হামলার বিষয়ে তারা তদন্ত করছেন। ‘স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপনাগুলোতে বা স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা চিকিৎসা নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লংঘন,’ বলেছেন তিনি।
রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করলেও তেদ্রোস তার সংক্ষিপ্ত পোস্টে রাশিয়ার নাম নেননি। এদিকে ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, ইউক্রেনে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোকে এখন টার্গেট করছে রাশিয়ার সেনারা। এক্ষেত্রে তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে তাদের সামনে অগ্রসর হওয়া ধীরগতির হয়েছে। এতে রাশিয়ার সেনারা বিস্মিত। গোয়েন্দা রিপোর্টে ব্রিটেন বলেছে, খারকিভ, চেরনিহিভ এবং মারিওপোলসহ বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাকে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে মস্কো। এর আগে ১৯৯৯ সালে চেচনিয়া এবং ২০১৬ সালে সিরিয়ায় একই রকম কৌশল ব্যবহার করেছিল রাশিয়া। তারা আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালাচ্ছে। তবে বেসামরিক এলাকাকে টার্গেট করার কথা বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে মস্কো। যুদ্ধের এ সময়ে কড়া সতর্কতা উচ্চারণ করেছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস।
তারা বলেছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মারিওপোলের পরিস্থিতি চরমমাত্রায় ‘ভয়াবহ’। সেখানে অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত। তাদের মানবিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎবিহীন বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আটকে আছে এসব মানুষ। ইউক্রেনে রেডক্রসের কর্মকর্তা মিরেলা হোদিইব বলেছেন, পরিস্থিতিকে আমি বিপর্যয়কর বলে বর্ণনা করতে পারি। মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে বেসামরিক মানুষের নিরাপদে সরে যাওয়ার অধিকার গ্যারান্টেড। যুদ্ধ সত্ত্বেও বেসামরিক লোকজনের সরে যাওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানায় রেডক্রস। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। যেসব বেসামরিক লোকজন সরে যেতে চান, তাদের সে সুযোগ দেওয়ার জন্য কাজ করছে রেডক্রস।