শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের নেশা নিষেধাজ্ঞা!

ভয় দেখিয়ে বাগে আনতেই বিধিনিষেধ

যুদ্ধ হোক, সন্ত্রাসবাদ হোক বা মানবাধিকার লঙ্ঘন- যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ থাকবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে এক মুহূর্ত সময় নেয় না যুক্তরাষ্ট্র। যদিও অনেক সময় কিছু দেশ পাল্টা নিষেধাজ্ঞাও দেয় দেশটির বিরুদ্ধে। তবে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম পিপলস ডেইলির জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ডিং গ্যাং গ্লোবাল টাইমসে তাঁর মতামত কলামে লিখেছেন, ইউক্রেনে রুশ বাহিনী প্রবেশের পর পরই রাশিয়ার ওপর নজিরবিহীন আর্থিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাশিয়া থেকে তেল ও অন্যান্য জ্বালানি পণ্য আমদানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। তাঁর মত, যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশকে তার নীতি ও স্বার্থের বিরুদ্ধাচরণ করতে দেখে বা যাদের শত্রুজ্ঞান করে তাদের শাস্তি দিতে, ভয় দেখিয়ে বাগে আনতে বিধিনিষেধ আরোপের নীতি নেয়। কিন্তু কেন ওয়াশিংটনের এতে আসক্তি, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ অবধারিতভাবেই বলা যায়, জ্বালানি তেলের চড়া দর নিশ্চিত করার চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্বার্থরক্ষার ভার রয়েছে ওয়াশিংটনের। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর বিভিন্ন দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে ভুক্তভোগী দেশগুলোর নীতিতে পরিবর্তন আসেনি। তবু নিষেধাজ্ঞাকেই নিজেদের প্রাথমিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মার্কিন সরকার। বিধিনিষেধ আর অবরোধের উল্টো প্রতিক্রিয়া ওয়াশিংটনের নীতিনির্ধারকরা ঠিকই বোঝেন, তবু এটাই তাদের সবচেয়ে সহজে ব্যবহারযোগ্য অর্থনৈতিক অস্ত্র; যা দুনিয়াজুড়ে আমেরিকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতে আধিপত্য ধরে রাখতে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত যখন প্রকাশ্য রূপ নেয়, সেই ২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকা ও তার মিত্ররা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চলেছে।

সর্বশেষ খবর