বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

এবার রাশিয়ায় বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা

এবার রাশিয়ায় বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা

রাশিয়ার কয়লার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে ইউরোপ

এবার রাশিয়ায় বিনিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। এ ছাড়াও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে রাশিয়ান সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এর সঙ্গে রাশিয়া সরকারের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতার মূল চালিকাশক্তিকে দুর্বল করে দেবে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

গতকাল রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাস এই খবর দিয়েছে। জেন সাকি জানিয়েছেন, নতুন এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে রাশিয়ার অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে। এ ছাড়া কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও অলিগার্কও রয়েছেন এই তালিকায়। পাশাপাশি ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সাহায্য বৃদ্ধির ঘোষণাও করেছে তার পশ্চিমা মিত্ররা। জেন সাকি বলেন, ওয়াশিংটনের আশা এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর খুব তীব্র এবং তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক ক্ষতি বয়ে আনবে। জেন সাকি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে যাতে রাশিয়া তার রিজার্ভের অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারে বাধ্য হয় বা তা খরচ করতে থাকে। উদ্দেশ্য হলো তাদের সেটি বেছে নিতে বাধ্য করা।

তিনি বলেন, রাশিয়া অফুরন্ত সম্পদের মালিক নয়। বিশেষ করে ঠিক এই সময়ে যখন আমরা তাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। তাদের সঞ্চিত অবশিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার বা খেলাপি হওয়া- যে কোনো একটি বেছে নিতে বাধ্য করা হবে। বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনের শহর বুচায় রাশিয়ার সেনারা বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যে কথিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন তার শাস্তি হিসেবে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যদিও বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

শহরটির মেয়র বিবিসিকে জানান, রুশ সেনারা অন্তত ৩২০ বেসামরিককে হত্যা করেছে। এ ছাড়া সেখানে পাওয়া গেছে গণকবরও, যা বিশ্বজুড়ে রুশবিরোধী মনোভাব আরও দৃঢ় করেছে। পশ্চিমা নেতারা একে যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছে। সাকি আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-৭ রাষ্ট্রগুলোকে সঙ্গে নিয়ে।

এদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন নতুন করে যে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে তার আওতায় পুতিনের দুই কন্যা ছাড়াও দেশটির সবচেয়ে বড় ব্যাংকও থাকছে। ওদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পঞ্চম দফার নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ান কয়লা আমদানিকেও অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে। আর এটিই রাশিয়ার জ্বালানি খাতের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম নিষেধাজ্ঞা। প্রতি বছর মস্কো থেকে ৪০০ কোটি ইউরোর কয়লা কিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

সর্বশেষ খবর