শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউক্রেনে রেলস্টেশনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৫০

গতকাল দুটি রকেট আছড়ে পড়ে ক্রামাটর্সক রেলস্টেশনে

দেখতে দেখতে দেড় মাস কেটে গেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এখন পর্যন্ত লড়াই থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং ক্রমেই বাড়ছে প্রাণহানি ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা। গতকাল রুশ রকেট আছড়ে পড়ল পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাটর্সকের রেলস্টেশনে। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এ হামলায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে নিতে রেলস্টেশনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এএফপি জানায়, স্টেশনের পাশে মাটিতে প্লাস্টিক শিট দিয়ে ঢেকে রাখা ২০টি সারিবদ্ধ লাশ দেখেছেন তিনি। পরে সামরিক যানে লাশগুলো তুলে নেওয়া হয়।

ইউক্রেনের রেল দফতর একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘গতকাল দুটি রকেট আছড়ে পড়েছে ক্রামাটর্সক রেলস্টেশনে। ওই ঘটানয় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দোনেৎস্কের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো এ হামলার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, যখন রকেট আছড়ে পড়েছিল সেই সময় স্টেশনে হাজার হাজার মানুষ ছিলেন। এ সপ্তাহের শুরুর দিকেও ক্রামাটর্সকে রুশ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনে পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য শহর যে ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে, তার থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছিল এ শহর। রুশ হামলার আশঙ্কায় পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের আগে থেকেই পশ্চিম দিকে গিয়ে আশ্রয় নিতে সতর্ক করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বলছে, ইউক্রেনের একেবারে পূর্বাঞ্চলে এখনো চালু থাকা স্টেশনগুলোর একটি ক্রামাটর্সক স্টেশন।

এ হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, রেলস্টেশনে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ‘উসকানিমূলক’ ও ‘সম্পূর্ণ অসত্য’।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ হামলার পর রাশিয়াকে ‘ভয়ংকর শয়তান’ বলে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘ওরা সুপরিকল্পিতভাবে একটা সভ্যতাকে ধ্বংস করছে। এটা ভয়ংকর শয়তানি। ওদের শায়েস্তা না করতে পারলে ওরা থামবে না।’

কয়েক দিন আগে রুশ বর্বরতার ভিডিও দেখিয়ে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন জেলেনস্কি। যাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপে বাধা দিতে না পারে নিরাপত্তা পরিষদের এ স্থায়ী সদস্য দেশটি। এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন। না পারলে সবাই মিলে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘ ভেঙে দিন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে ভয়ংকর লড়াই। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, হয়তো সহজেই পুতিন বাহিনী দখল করে নেবে কিয়েভ। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত প্রতিরোধ মজবুত করেছে ইউক্রেন।

সর্বশেষ খবর