শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা
মার্কিন প্রতিরক্ষা নথি নিয়ে চাঞ্চল্য

সত্যিই কি ভিনগ্রহীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল?

সত্যিই কি ভিনগ্রহীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল?

সম্প্রতি এলিয়েন বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্রতিবেদন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, এলিয়েন শুধু পৃথিবীতে আসছেই না, কোনো কোনো নারীর সঙ্গে এলিয়েনের যৌন সম্পর্ক হয়েছে এবং এ কারণে এক নারী অন্তঃসত্ত্বাও হন। ওই নারীর দাবি তাকে নাকি এক ইউফো বা অজানা উড়ন্ত বস্তু অপহরণ করেছিল। তারপর তার সঙ্গে ওই এলিয়েন যৌন সম্পর্ক করেন, এরপরই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন

ভিনগ্রহী বা এলিয়েন আছে কি নেই- তা নিয়ে যখন মানুষের আগ্রহের শেষ নেই, বিস্তর গবেষণায় ব্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। তখন প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা নথির এই দাবি নিয়ে, সত্যিই কি ভিনগ্রহীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন?

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলদ্য সান যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা পেন্টাগনের নথিতে বলা হয়েছে, ‘মানবিক ও জৈবিক টিস্যুতে অস্বাভাবিক তীব্র ও সাব্যাকিউট ফিল্ড ইফেক্টস’ নামের শিরোনামে  মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছিল। যাদের অলৌকিক অভিজ্ঞতা হয়েছে তাদের ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছে, ‘অসামান্য উন্নত মহাকাশ ব্যবস্থার দ্বারা মানব পর্যবেক্ষকদের আঘাত করা হয়েছে।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক গবেষণা সংস্থা-মুফোন একটি তালিকা করেছে। যা প্রতিবেদনের উপযোগী ডাটাবেজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। মানুষের ওপর  ভিনগ্রহীদের জৈবিক প্রভাব ও তাদের ফ্রিকোসেন্স তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেই তালিকাতে ভিনগ্রহী ও মানুষের মধ্যে যৌন মিলন হয়েছে এমন পাঁচটি তথ্য পাওয়া গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভিনগ্রহীদের দেখার পর অনেকের শারীরিক সমস্যা হয়েছে। ভিনগ্রহীদের দেখার পর অনেকেই আহত হয়েছে, প্রবল তাপে পুড়ে গেছে। মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিয়েছে এমন মানুষের কথাও উল্লেখ রয়েছে। অনেকেই আবার ভিনগ্রহী দর্শনের পরই স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়েছে। 

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এ জাতীয় ঘটনা মানুষের জন্য একটি বড় হুমকি। এ জাতীয় আঘাতগুলো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিকিরণ থেকেই গরমের কারণে পুড়ে গেছে অনেকে। মস্তিষ্কের ক্ষতি ও স্নায়ুর রোগও এই একই কারণে তৈরি হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পেন্টাগন গোপনীয় এইএফও  প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। সেই সম্পর্কিত এটি ১৫০০ পাতার রিপোর্টও নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে- ভিনগ্রহীদের মুখোমুখী পড়ে গেলে মানুষকে কী করে বাঁচতে হবে। সেই সময় মানুষের আচরণ কী জাতীয় হবে। রিপোর্টে আত্মার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যা নিয়ে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে।

যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গবেষণা সংক্রান্ত এই নথিতে উল্লেখ করা দাবিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের রিপাের্টের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল ও দ্য সানে খবর প্রকাশের পর- এ নিয়ে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমও প্রতিবেদন করেছে।

সর্বশেষ খবর