করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসতে না আসতেই ফের এশিয়ার অনেক দেশে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ভারত ও চীনে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। চীনের সাংহাই প্রশাসন জানিয়েছে, রবিবার শুধু সাংহাইয়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার মানুষ। করোনা সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়ার কারণে ফের লকডাউন আরোপ করতে হয় সেই শহরে। নতুন করে লকডাউন শুরু হওয়ার পর ওই দিন করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনে ওমিক্রন ও ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও, মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। তবে রবিবার করোনায় মৃত্যুর খবর নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ১০ দিনের সদ্যোজাত থেকে বৃদ্ধ, ওমিক্রন থেকে রেহাই মিলছে না কারওই।
পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে গণপরীক্ষা শুরু হয় সাংহাইয়ে। ইতোমধ্যেই কয়েকটি আবাসনকে সেফ হোম ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এদিকে ভারতের পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই সপ্তাহে দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ৫০০ শতাংশ। দেশটিতে গতকাল করোনায় ২১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৮৩ জন।যা শনিবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। মোট দৈনিক আক্রান্তের মধ্যে ৫১৭ জন আক্রান্ত শুধু দিল্লিতেই। চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এ মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৫৪২ জন।