শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি!

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে দেড় মাস পার হয়েছে। বিপুল শক্তিধর রাশিয়ার মোকাবিলায় ইউক্রেনকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে আমেরিকা ও তার পশ্চিমী মিত্র দেশরা। তবে যুদ্ধে যার যতই ক্ষতি হোক না কেন হাসি ফুটেছে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মুখে। আমেরিকা এখনো পর্যন্ত ২৪০ কোটি ডলারের অস্ত্রশস্ত্র কিয়েভর হাতে তুলে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়েছে ১৬৩ কোটি ডলারের অস্ত্র। সাধারণত, আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে অস্ত্র তৈরি পুরোপুরি বেসরকারি হাতে। তারা যখন অন্য কোনো দেশকে অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন আখেরে লাভ হয় সেই অস্ত্র তৈরি সংস্থাগুলোরই। এই যুদ্ধে ৩০টি দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র ঢুকছে। অন্যদিকে কিয়েভ যত বেশি বিদেশি অস্ত্র সাহায্য পাচ্ছে, পাল্লা দিয়ে হামলার তেজ বাড়াচ্ছে মস্কো। এই দুইয়েরই যোগফল দিনে দিনে যুদ্ধ আরও রক্তক্ষয়ী, আরও ধ্বংসাত্মক হচ্ছে। অন্যদিকে এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বেই।

পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছোঁয়ার দশা, গরিব মানুষ আরও গরিব, মধ্যবিত্তের শেষ সঞ্চয়টুকুও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, আমেরিকা সবচেয়ে বড় অস্ত্রশস্ত্রের বিক্রেতা। দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া। যদিও তা আমেরিকার এক-তৃতীয়াংশও নয়। ওয়াকিফহাল মহল বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন সংকট ঘনীভূত হওয়ার একটি অন্যতম কারণ ২০১৮-য় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্ত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র প্রস্তুতকারক ‘লকহিড মার্টিন’-এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ট্রাম্প সরকার কিভের হাতে তুলে দেয় জ্যাভেলিন অ্যান্টি ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র। সেই সময়ই পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এর পরিণতি হবে আমেরিকার জন্য দুঃখজনক। আর তাই হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর