শুক্রবার, ৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউক্রেনে সংঘাত পরিস্থিতির অবসান চায় ভারত ও ফ্রান্স

নরেন্দ্র মোদির প্যারিস সফর

ইউক্রেনে সংঘাত পরিস্থিতির অবসান চায় ভারত ও ফ্রান্স

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফ্রান্স সফরের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকারি বাসভবন এলিসি প্যালেসে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন -এএনআই

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফ্রান্স সফরকালে বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন এলিসি প্যালেসে বৈঠক করেন। ইউক্রেনের সংঘাত পরিস্থিতি অবিলম্বে অবসানের আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ভারত ও ফ্রান্স। এলিসি প্যালেসের বৈঠক থেকেই ইউক্রেনের সংঘাত পরিস্থিতির অবসান চেয়েছেন দুই নেতা।

বিবৃতিতে ফ্রান্স ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। তবে মোদি এবারও ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়ার নিন্দা জানাননি। তবে যৌথ বিবৃতিতে মোদি ও ম্যাক্রোঁ উভয়েই ইউক্রেনে চলমান সংঘাতে মানবিক সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মোদি তাঁর তিন দিনের ইউরোপ সফরে বুধবার প্যারিস পৌঁছান। এর আগে তিনি জার্মানি ও ডেনমার্ক সফর করেন। গতকাল তাঁর দেশে ফেরার কথা। ভারত বেশির ভাগ অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম রাশিয়া থেকে আমদানি করে। দেশটি দীর্ঘ সময় ধরে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে আসছে। ভারত রাশিয়ার নিন্দা জানিয়ে চিঠি দিতে বা ইউক্রেনে হামলার জন্য জাতিসংঘে দেশটির বিরুদ্ধে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এদিকে ফ্রান্স ‘ইউক্রেনে বেআইনি ও অন্যায্য আগ্রাসনের’ জন্য রুশ সেনাদের নিন্দা জানিয়েছে। তবে দুই দেশই বলেছে, যুদ্ধ বৈশ্বিক খাদ্য সংকট আরও তীব্র করতে পারে। ইউক্রেন পৃথিবীর অন্যতম গম উৎপাদনকারী দেশ। মোদির সঙ্গে এ সংলাপ সামনে রেখে ম্যাক্রোঁর অফিস থেকে বলা হয়, মোদির সঙ্গে আলোচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এশিয়ার বাইরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে গুরুত্ব দেবেন। ফ্রান্স রাশিয়ান অস্ত্র ও জ্বালানির বাইরে ভারতকে ‘বৈচিত্র্য’ দিয়ে সাহায্য করতে চায় বলেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বিবৃতিতে বলা হয়।

আস্থার সম্পর্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাসভবনসূত্র জানান, ম্যাক্রোঁর সঙ্গে মোদির গভীর উষ্ণ সম্পর্ক। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার ফ্রান্স সফর করেছেন মোদি। ম্যাক্রোঁ ভারতে গেছেন ২০১৮ সালে।

এ সংলাপের আগে ফ্রান্সের পক্ষ থেকে দুই দেশের সম্পর্ককে ‘আস্থা’র বলে উল্লেখ করা হয়। পরে দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতেও বলা হয়, দুই দেশই কৌশলগত ফ্রাঙ্কো-ইন্ডিয়ান সম্পর্ক বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আগ্রহী।

ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে বেশ কিছুসংখ্যক রাফাল যুদ্ধবিমান ও ছয়টি সাবমেরিন কিনেছে। এ ছাড়া অসামরিক পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে প্যারিসের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

অন্যদিকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি এডিএফ ভারতের পশ্চিম উপকূলে ছয়টি নেক্সট জেনারেশন ইপিআর রিঅ্যাক্টর তৈরি করতে চায়।

 

সর্বশেষ খবর