মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়ার তেল বন্ধে বদ্ধপরিকর জি-৭

রাশিয়ার তেল বন্ধে বদ্ধপরিকর জি-৭

ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নতুন পদক্ষেপ নিল জি-৭। ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল আমদানির পরিমাণ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে জি-৭ দেশগুলোর তরফে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ব্রিটেন ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র- এ সাত দেশের ফোরাম জি-৭।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তার পর থেকে তা থামার লক্ষণ নেই। সংঘাতের মধ্যেই রবিবার ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হয় সাত দেশ। জি-৭-এর বর্তমান চেয়ারম্যান জার্মানির উদ্যোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জরুরি বৈঠকে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বাকি দেশের নেতারা। ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, রুশ জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া রবিবার আচমকাই ইউক্রেনে যান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন।

রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করে পশ্চিমা দেশগুলো। মুখে রুশবিরোধিতা করলেও তেল আমদানি করা নিয়ে বারবার আঙুল উঠেছে তাদের দিকে। সে কথা মাথায় রেখেই জি-৭ দেশগুলো জানিয়েছে, ‘রুশ এনার্জির প্রতি নির্ভরতা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের। ধাপে ধাপে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিও বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ। রুশ তেলের বিকল্প তৈরি করে নেওয়ার সময় দিতে হবে পৃথিবীর অন্য দেশগুলোকে।’ এদিকে রাশিয়ার তিন টেলিভিশন স্টেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।

তবে রুশ তেলের বিকল্প কীভাবে তৈরি করা হবে, তা নিয়ে কিছু বলা হয়নি জি-৭-এর তরফে। রাশিয়ার ওপর নানা বিধিনিষেধ চাপিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা নিয়ে ভারতের দিকেও আঙুল তোলা হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকেও পাল্টা দিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলো অনেক বেশি পরিমাণে তেল আমদানি করে। তাই জি-৭-এর এ ঘোষণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, রবিবারই লুহানস্ক অঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা ফেলেছে রাশিয়া। সেখানে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সমগ্র ইউক্রেন দখল করতে না পারলেও বিজয় দিবসের আগে মারিউপোল জয় করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছ রুশ সেনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৯ মে হিটলারের বাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল রাশিয়া। সে ঘটনার স্মরণে ওই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। তার আগের দিনই জি-৭-এর এ ঘোষণা পুতিনের আত্মবিশ্বাসে ঝাঁকি দেবে।

সর্বশেষ খবর