শনিবার, ১৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চাঁদের মাটিতেই চারা ফুটে গাছ!

চাঁদের মাটিতেই চারা ফুটে গাছ!

গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল ১৯৬৯ সালে। সেই সময়ে চাঁদ থেকে মাটি এনেছিলেন মহাকাশচারীরা। মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং ও আলবার্ট অলড্রিন এই মাটি এনেছিলেন। আর সেই মাটিতেই এবার বেড়ে উঠছে গাছ। পৃথিবীতে এত বছর ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছিল সেই মাটি। আর এবার সেই মাটিতে প্রাণের সঞ্চার দেখে আপ্লুত গবেষকরা। ওই মাটিতে পরীক্ষামূলকভাবে গাছ লাগানো হয়েছিল, কিন্তু সেটা যে এ ভাবে বেড়ে উঠবে, তা ভাবেননি বিজ্ঞানীরা। চাঁদের কর্কশ মাটিতে কোনো প্রাণের আশা ছিল না। ইউনিভার্সিটিসি অব ফ্লোরিডার কৃষি বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট ফার্ল কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এমন দৃশ্যে। সত্যিই যে গাছ বাড়ছে, এ কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি।

বিজ্ঞানের পরিভাষায় চাঁদের মাটিকে বলা হয় ‘রেগোলিথ’। ৫০ বছরেরও আগে আনা এই রেগোলিথে আজ অসাধ্য সাধন করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই মাটিতে যে গাছ লাগানো তার নাম অ্যারাবিডোপসিস থাইলানা। এটি আগাছা জাতীয় গাছ। এই গাছ আফ্রিকা এবং ইউরেশিয়া অঞ্চল জুড়ে দেখা যায় ব্রকোলি, ফুলকপির মতো সবজির খুবই ‘নিকটাত্মীয়’ এই উদ্ভিদ। নাসার তরফেও এই সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা হয়েছে। নাসা কর্মকর্তা বিল নেলসন জানিয়েছেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি হিউম্যান এক্সপোরেশনের লক্ষ্যের জন্য এই গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের জন্য খাদ্যের জোগানের জন্য চাঁদ এবং মঙ্গল পাওয়া উৎস ব্যবহার করতে হবে।’ কীভাবে হলো এই অসাধ্য সাধন গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতিটি চারাগাছের জন্য ১ গ্রাম করে রেগোলিথ বরাদ্দ করা হয়েছিল প্রথমে পানি দেওয়া হয় এবং তারপর বীজ পোঁতা হয় এর পর একটি পরিষ্কার ঘরে টেরারিয়াম বাক্সে রাখা হয় প্রয়োগ করা হয় পুষ্টিগুণে ভরপুর সলিউশন। বিজ্ঞানীদের আশা, এই সাফল্যের পর একদিন চাঁদের মাটিতে শস্য উৎপাদন করা যাবে।  

সর্বশেষ খবর