বুধবার, ১৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বিমান বিক্রি ও টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় শ্রীলঙ্কা

বিমান বিক্রি ও টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনস বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। চলমান অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। সোমবার তিনি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, নতুন সরকার ‘শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনস’কে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য কাগজের মুদ্রা ছাপতে যাচ্ছে দেশটি। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আগে থেকেই এই বিমান সংস্থার মাধ্যমে আয় করতে ব্যর্থ হচ্ছিল সরকার। এর মধ্যে ১ বছরে ১২.৪ কোটি ডলার ক্ষতিও হয় বলে জানান বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেন, দেশের যে দরিদ্র মানুষ কখনো বিমানে ওঠেননি, তাঁদের এ ক্ষতির ভাগ দেওয়া উচিত নয়।

বিজনেস স্টান্ডার্ড জানায়, আগে থেকেই এই এয়ারলাইনসের মাধ্যমে আয় করতে ব্যর্থ হচ্ছিল সরকার। এর মধ্যে এক বছরে ১২.৪ কোটি ডলার ক্ষতিও হয় বলে জানান বিক্রমাসিংহে। ক্ষমতা গ্রহণের পর নানাভাবে অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনো আশা জাগানো কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। উল্টো সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়ার জন্য নতুন মুদ্রা ছাপাতে হচ্ছে দেশটিতে। বিক্রমাসিংহে বলেন, এর কারণে দেশের মুদ্রার ওপরে বড় চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু এ ছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী গত পরশুই জানিয়েছিলেন তাদের হাতে মাত্র এক দিনের গ্যাস রয়েছে। এখন কী অবস্থা তা জানা যায়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপরিশোধিত তেল আমদানির চেষ্টা করছে সরকার। আগামী কয়েক মাস শ্রীলঙ্কার জন্য সবথেকে কঠিন হতে চলেছে বলেও সাবধান করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিক্রমাসিংহে বলেন, অতি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য শ্রীলঙ্কার এখন জরুরিভাবে সাড়ে সাত কোটি ডলার প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে ত্যাগ স্বীকার ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। জনগণকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ভারতীয় ঋণে কেনা পেট্রোল ও ডিজেলের দুটি চালান কয়েক দিনের মধ্যে এসে পৌঁছাবে। তখন কিছুটা স্বস্তি ফিরবে। জ্বালানি ছাড়াও দেশে জীবন রক্ষাকারী ১৪ ধরনের ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, এসব সংকট থেকেই শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। গত সপ্তাহে সরকার সমর্থক ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নয়জন নিহত এবং ৩ শতাধিক মানুষ আহত হন। ওই বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন মাহেন্দ রাজাপক্ষে, যিনি প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বড় ভাই।

সর্বশেষ খবর