শনিবার, ২১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

সব থেকে কাছে গিয়ে সূর্যের ছবি তুলল সোলার অরবিটার

সব থেকে কাছে গিয়ে সূর্যের ছবি তুলল সোলার অরবিটার

সূর্যের সবচেয়ে কাজে যেতে পারল ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সোলার অরবিটার। সেখানে গিয়ে ছবি তুলল ‘আমাদের প্রাণভোমরা’ সূর্যের। আমাদের তারাকে প্রদক্ষিণ করতে করতে গত ২৬ মে যে ছবিটি তোলা হয়েছে; যা ভাবনার সুযোগ করে দিচ্ছে বিজ্ঞানীদের। এই মুহূর্তে সূর্যের নিকটতম গ্রহ বুধের কক্ষপথের মধ্যে রয়েছে সোলার অরবিটার। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের এক-তৃতীয়াংশ দূরে সেটি। স্বভাবতই সেই মহাকাশযানটিকে সূর্যের তুমুল উত্তাপ সহ্য করতে হচ্ছে। জানা গেছে, যানটির বাইরের অংশে লাগানো রয়েছে তাপ প্রতিরোধকারী শিল্ড। তাতে ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। যদিও প্রযুক্তির কল্যাণে ভিতরের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিগুলো ছিল একেবারে ঠাণ্ডা। সূর্যের ‘স্বরূপ’ বুঝতে বহুদূর পাড়ি দিয়েছে এই সোলার অরবিটার। ইএসএ জানিয়েছে, যত কাছে যাওয়া যাবে ততই বিশদে কাজ করবে মহাকাশযানের রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি। সূর্যের মেরুপ্রদেশে এক রহস্যময় বিষয় আবিষ্কার করেছে অরবিটারটি। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘হেজহগ’। এক্সট্রিম আল্ট্রা-ভায়োলেট ইমেজিং যন্ত্রের সাহায্যে তোলা হয়েছে হেজহগের ছবি। এটা কী এবং সূর্যের ‘বায়ুম লে’ কেমনভাবে তৈরি হয় তা এখনো পর্যন্ত কেউ জানে না। সূর্য থেকে অন্তত ২৫ হাজার কি.মি. পর্যন্ত প্রসারিত এই হেজহগের লেলিহান শিখা। সূর্যের ব্যাস প্রায় ১৩ লাখ ৯২ হাজার কিলোমিটার, যা পৃথিবীর ব্যাসের ১০৯ গুণ, এর ভর পৃথিবীর ভরের ৩ লাখ ৩০ হাজার গুণ বেশি। সূর্যের প্রধান গাঠনিক উপাদান হাইড্রোজেন। আসলে মোট ভরের তিন- চতুর্থাংশই হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেনের পরেই সবচেয়ে প্রাচুর্যময় মৌল হিলিয়াম। এ সূর্যের আরও কত রহস্য লুকিয়ে আছে তা জানতেই মহাশূন্যে পাড়ি দিয়েছে সোলার অরবিটার।

সর্বশেষ খবর