শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

দনবাস দখলে মরিয়া রুশ বাহিনী

দনবাস অঞ্চলের অর্ধেকই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই এলাকাটিকে তাদের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে

ইউক্রেনের দনবাসে প্রচণ্ড আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের সেভেরদোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক- এই দুটি শহরকে ঘিরে ফেলার চেষ্টায় সেখানে প্রচ  বোমাবর্ষণ করছে পুতিন বাহিনী। ওই হামলার এ পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

ঠিক তিন মাস আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তবে এখনো তেমন সফলতা পায়নি রাশিয়া। শুরুর দিকে রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি চলে এলেও পাল্টা লড়াই শুরু করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তাতে অনেকটা পিছু হটে রুশ বাহিনী। এরপর কিছুটা ক্ষ্যান্ত দিয়ে ফের তুমুল লড়াই শুরু করে মস্কো। এর পর ঘোষণা দেওয়া হয়, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’র দ্বিতীয় পর্বে দনবাস অঞ্চল মুক্ত করাই রুশ বাহিনী লক্ষ্য।

বিবিসি সূত্রে খবর, দনবাস অঞ্চলের অর্ধেক এলাকাই লুহানস্কের অন্তর্গত এবং রাশিয়া এখন এই এলাকাটিকেই তাদের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত করেছে। যদি দনবাস রাশিয়ার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তাহলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হয়তো ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করতে পারেন। এদিকে ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রুশ গোলাবর্ষণে শিশুসহ অন্তত ৯ জন মারা গেছে। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের খারকিভ শহরে দফায় দফায় হামলা চালায় রাশিয়া। খারকিভের গভর্নর ওলেগ সিনেগুবগ জানান, রাশিয়ার গোলাবর্ষণে ৯ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশু রয়েছে। শিশুটির বাবাও মারা গেছেন। মা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরও ১৯ জন নাগরিক আহত হয়েছেন। খারকিভের তিনটি এলাকায় রুশ বাহিনী এই হামলা চালায়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধী দেখা দিয়েছে। এর তীব্র নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে আর কত দেরি করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন? রাশিয়ার ব্যাংকিং ব্যবস্থাও এখনো পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে ইউক্রেনের ইরপিন ও বুচা শহর পরিদর্শন করে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। পুতিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে বিশ্বে খাদ্য সংকট শেষ করতে বড় অবদান রাখবে মস্কো।

সর্বশেষ খবর