সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

লুহানস্ক দখলের পথে রুশ বাহিনী

লুহানস্ক দখলের পথে রুশ বাহিনী

ইউক্রেনের বড় অস্ত্রাগারটি গতকাল মিসাইল হামলায় ধ্বংস করে রুশবাহিনী

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে এই মুহূর্তে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। এ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, দনবাস এবং খারকিভ অঞ্চলের সম্মুখসারিতে রাশিয়ার যুদ্ধ অত্যন্ত কঠিন। গতকাল আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ‘আমি ইউক্রেনীয়’ লেখা টি-শার্ট পরে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার মনোনিবেশ এখনো রয়েছে সেভেরোদোনেৎস্ক, লিসিচাঙ্ক, বাখমুত এবং পোপাসনা শহরে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বকে মনে করিয়ে দেব রাশিয়াকে অবশ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র এবং সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ রেল হাব লিমান দখলের দাবি করার পর নিকটবর্তী কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদোনেৎস্কেও রুশ বাহিনীর আক্রমণের তীব্রতা বেড়েছে।

দনবাস অঞ্চলে একের পর এক শহর, গ্রাম হাতছাড়া হতে থাকা কিয়েভ যুদ্ধের গতিমুখ বদলে দিতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে দূরপাল্লার অস্ত্র সহায়তা চাওয়া অব্যাহত রেখেছে।

তিন মাস আগে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সেখানে রুশ বাহিনী ও তাদের সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অগ্রগতির চিত্র স্পষ্ট হচ্ছে। ধীর-স্থিরভাবে এগুনো ‘রুশ বাহিনী’ দনবাসের লুহানস্ক অঞ্চলের প্রায় সব এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। লুহানস্কের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে, তা মস্কোর জন্য বড় ধরনের বিজয় হিসেবে বিবেচিত হবে। ক্রেমলিন তার অভিযানের শুরুতে যেসব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল দনবাস থেকে ইউক্রেনের বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, সেভেরস্কি দোনেৎস নদীর পশ্চিমে অবস্থিত লিমানের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের সেনা ও মিত্রদের হাতে।

সর্বশেষ খবর