সোমবার, ৩০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

সমকামী পুরুষরাই কি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছে?

বর্তমানে ইউরোপ আর আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কি পক্সের রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রোগ বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ভাইরাসটি সাধারণভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এটি মহামারির আকার নিতে পারবে না। মাঙ্কি পক্স- যা গুটিবসন্তের কম গুরুতর রোগ। এটি পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার ১১টি দেশের স্থানীয় রোগের মধ্যে পড়ে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সতর্ক করেছে বর্তমানে গোটা বিশ্বে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র বেশি। আফ্রিকার দেশগুলো ছাড়াও বিশ্বের একাধিক উন্নত দেশে এই রোগে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের কথায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমকামী পুরুষদের মধ্যেই মাঙ্কি পক্স শনাক্ত করা হয়েছে। ব্রিটেনে মে মাসের প্রথম দিক থেকে মাঙ্কি পক্সের রিপোর্ট করা হয়েছে। ব্রিটেনে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮। পর্তুগালে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ৭৪। সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আক্রান্তরা সবাই পুরুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৪০ বছরের কম বয়সী পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। এই রোগের লক্ষণগুলো হল জ্বর, পেশীতে ব্যথা, ক্ষত ও ঠান্ডা লাগা। ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার তিন থেকে ছয় শতাংশ। বেশিরভাগ লোকই আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। একটি বানরকে গবেষণার জন্য রাখা হয়েছিল। সেটির মধ্যেই প্রথম এই ভাইরাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তারজন্য ভাইরাসটির নাম হয় মাঙ্কি পক্স। ১৯৭০ সালে এটি প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর