বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

একটি গাছের আয়তন ২০০ বর্গকিলোমিটার

একটি গাছের আয়তন ২০০ বর্গকিলোমিটার

ধারণারও বাইরে! একটি গাছের আয়তন ২০০ বর্গকিলোমিটার। গবেষকরা বলছেন, এই গাছ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন শহরের চেয়ে তিন গুণ বড়। এটি অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে পাওয়া গেছে। এটি মূলত সি-গ্রাস বা সাগরের ঘাস। এটি রিবন উইড বা ফিতা ঘাস নামেও পরিচিত। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, বিশাল এই সি-গ্রাস ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। তারা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরের শার্ক বে এলাকায় আকস্মিকভাবে এই সি-গ্রাসের সন্ধান পান।

ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে একটি বীজ থেকে পুরো উপকূলে ছড়িয়ে পড়ে এই সি-গ্রাস। এটি প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত। গবেষক দলটি পার্থ শহর থেকে ৮০০ কিলোমিটার উত্তরে শার্ক বে উপসাগরের জলজ উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে এই উদ্ভিদটি আবিষ্কার করেন।

এরপর তারা এর জিনগত বৈশিষ্ট্য জানার চেষ্টা করেন। এ জন্য উপসাগরের বিভিন্ন স্থান থেকে অঙ্কুর সংগ্রহ করেন এবং প্রতিটি নমুনা থেকে একটি করে ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট’ তৈরি করতে ১৮ হাজার জেনেটিক মার্কার পরীক্ষা করেন। এর মাধ্যমে এই তৃণভূমিতে কতগুলো উদ্ভিদ আছে তা বের করার চেষ্টা করছিলেন তারা। গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য রয়্যাল সোসাইটি বি সাময়িকীতে। গবেষণা নিবন্ধের প্রধান লেখক জেন এজলো বলেন, তৃণভূমির সি-গ্রাসের সংখ্যা জানতে গবেষণা চালাতে গিয়ে তারা চমকে গেছেন। কারণ, পুরোটাই মাত্র একটি উদ্ভিদ। শার্ক বের ১৮০ কিলোমিটারে বিস্তৃত একটি উদ্ভিদ! এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম উদ্ভিদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উদ্ভিদটি এর দৃঢ়তার জন্যও পরিচিত। উপসাগরের বিভিন্ন স্থানে পরিবর্তনশীল অবস্থার সঙ্গে এটি বেড়ে ওঠে।

সি-গ্রাসের এই প্রজাতি লন ঘাসের মতো বছরে ৩৫ সেন্টিমিটার বাড়ে। এ হিসাব ধরলে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছাতে এ ঘাসটির সাড়ে ৪ হাজার বছর লেগেছে।

সর্বশেষ খবর