শুক্রবার, ১০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ

সেভেরোদোনেৎস্ক যুদ্ধই ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলাফল কী হবে তা নির্ভর করবে সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের যুদ্ধের ওপর। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই দনবাসের ভাগ্যে কী জুটবে তা সেখানেই নির্ধারিত হচ্ছে।’ এমন এক সময় তিনি এ কথা বললেন যখন রুশ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সঙ্গে শিল্পাঞ্চল এলাকায় যুদ্ধ চলছে। তিনি দাবি করেছেন তাঁর সেনারা শত্রুবাহিনীর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পেরেছে। তবে ওই এলাকায় থাকা ইউক্রেনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রুশ বাহিনী শহরের বাইরে পুশব্যাক করেছে।

লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেছেন, রাশিয়ার গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা বাড়ানোর পর বিশেষ বাহিনী পিছু হটেছে। হাইদাই স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের বাহিনী এখন আবার শুধু শহরের বাইরের অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে লড়াই এখনো চলছে, আমাদের বাহিনী সেভেরোদোনেৎস্ককে রক্ষা করছে।’ গভর্নর বলেন, প্রায় ১৫ হাজার বেসামরিক লোক সেভেরোদোনেৎস্ক ও নিকটবর্তী শহর লিসিচানস্কে রয়েছেন। বুধবার রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন দনবাসে ‘জনশক্তি, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে।’ ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলো এখনো সিভারস্কি দোনেস নদীর পশ্চিম পাশে সিয়েভিয়ারোদোনেৎস্কের অপেক্ষাকৃত ছোট যমজ শহর লিসিচানস্কর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, কিন্তু রাশিয়ার বাহিনীগুলো সেখানকার আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে হাইদাই জানিয়েছেন। এ দুই শহরের প্রকৃত পরিস্থিতি কী রয়টার্স তা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এখন লুহানস্কের ৯৮ শতাংশের বেশি রাশিয়ার বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে হাইদাই জানিয়েছেন।

মার্চের শেষের দিকে যখন রাশিয়ার সেনারা রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে পিছু হটে, তখন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু পূর্ব ইউক্রেনের দিকে সরে যায়। ২০১৪-১৫ সালের যুদ্ধের পর থেকেই দনবাসের বড় অংশ রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিণতি বিশ্বের জন্য খারাপ হচ্ছে। প্রায় ১৬০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা, শক্তি ও অর্থের ওপর যুদ্ধের প্রভাব দ্রুততর হয়ে উঠছে।’ বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো- আইওয়ালা সতর্ক করে বলেছিলেন যে কোনো বিরতি ছাড়াই খাদ্য সংকট বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে।

সর্বশেষ খবর