সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ

আগ্নেয়াস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোর করার দাবিতে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বন্দুকধারীর নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের একাধিক ঘটনার পর দেশটিতে এই দাবি নতুন করে জোরদার হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিল, ‘গুলিবিদ্ধ হওয়া থেকে স্বাধীনতা চাই আমি।’ অনেকেই প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন, ‘আমাদের শিশুদের বাঁচান, আগ্নেয়াস্ত্র নয়।’ এই বিক্ষোভকে সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতি এ বিষয়ক আইন পাস করার আহ্বান জানিয়েছেন।

অবশ্য এমন আইন পাস হওয়ার সম্ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রে কম কারণ রিপাবলিকানরা এর বিরুদ্ধাচরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এর আগেও এই দলের নেতারা তাই করেছে। টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে গত ২৪ মে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে ১৯ শিশু ও দুজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়। নিউইয়র্কের বাফেলো শহরের আরেক ঘটনায় নিহত হয় ১০ জন। এ দুটি ঘটনা আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কঠোর করার দাবিকে নতুন করে জোরদার করে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি নতুন করে গতি পায়। আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠন এমএফওএল প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন। পার্কল্যান্ডের একটি হাইস্কুলে ওই হামলায় ১৭ জন নিহত হন। গত শনিবার তারা জানিয়েছেন, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোসহ দেশজুড়ে প্রায় ৪৫০টি সমাবেশ করবে। সংগঠনটি বলছে, জনগণের প্রাণহানি চলতে থাকায় রাজনীতিকদের আর নিষ্ক্রিয় থাকতে দেবে না তারা। রাজনৈতিক নেতাদের নির্বিকার ভূমিকার কারণেই আমেরিকানরা খুন হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছে এমএফওএল। ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড স্কুল শুটিং থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের গঠন করা আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপত্তাবিষয়ক গোষ্ঠী ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’ শনিবার জানায়, তারা দেশজুড়ে সাড়ে ৪০০ মিছিল-সমাবেশের আয়োজন করেছে। অন্যান্য নীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি এমএফওএল অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষিদ্ধ, একটি জাতীয় লাইসেন্স ব্যবস্থা যেখানে বন্দুকের মালিকের নাম নিবন্ধিত থাকবে এবং অস্ত্র ক্রেতার অতীত জীবন লিপিবদ্ধ থাকবে। আয়োজকরা সে সময়ে বলেছিলেন, এটা ছিল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বড় সমাবেশ। এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি শনিবারের বিক্ষোভের পক্ষে আছেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাসল্ট অস্ত্র নিষিদ্ধ এবং অতীত খতিয়ে দেখে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার। বাইডেন টুইটারে লেখেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে কংগ্রেসের প্রতি আমার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি, কিছু একটা করুন।

সর্বশেষ খবর