সোমবার, ২০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা
সতর্কবার্তা ন্যাটো প্রধানের

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলবে কয়েক বছর

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এ যুদ্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ী। তিনি নির্মমতার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে চাইছেন

চার মাস হতে চলল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। যুদ্ধের শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল রাশিয়া দ্রুতই তাদের লক্ষ্য পূরণ করে এই যুদ্ধ শেষ করে দেবে। তবে দিন যত যাচ্ছে সেই ধারণা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে চলেছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। এর মধ্যেই নতুন করে সতর্কবার্তা শোনালেন ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ। এই যুদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যেই যুদ্ধের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আরও ক্ষয়ক্ষতির জন্য তৈরি থাকা দরকার বলেই দাবি করেছেন ন্যাটো প্রধান।

ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্টলটেনবার্গ। তারপরেই একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে। সেজন্য আমাদের সবার প্রস্তুত থাকা দরকার। ইউক্রেনকে সহায়তা করা থেকে পিছিয়ে এলে চলবে না।’ প্রসঙ্গত, যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইউক্রেনীয় সেনাকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো। এছাড়াও স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘দিনে দিনে যুদ্ধের ব্যয়ও বাড়বে। শুধু অস্ত্র বা সামরিক সাহায্য নয়, আরও আনুসঙ্গিক জিনিস দিয়েও সাহায্য করতে হবে। জ্বালানি, খাদ্যদ্রব্যের মতো আরও নানা ক্ষেত্রে সাহায্য করতে হবে ইউক্রেনকে।’

তবে সেই ব্যয় করতেও প্রস্তুত ন্যাটো, এমনটাই বলেছেন স্টলটেনবার্গ। তাঁর মতে, রাশিয়ার পরাজয় দেখেই এত ব্যয়ভারের কথা বলে যেতে পারবেন তিনি। ন্যাটো প্রধান বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে যুদ্ধের কারণে প্রচুর ব্যয় হয়েছে। কিন্তু রুশ সেনা বাহিনীকে যদি জিততে দিতাম, সেই ব্যয় আরও অনেক বেশি হতো।’ প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের পূর্বদিকে অবস্থিত দোনবাস অঞ্চলে সেনাদের সাহায্য করতে আরও অস্ত্র পাঠাচ্ছে ন্যাটো, সে কথাও জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। ইতোমধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনের অধিকাংশ অঞ্চল দখল করে ফেলেছে রুশ বাহিনী।

একই ধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও। বিবিসি জানিয়েছে, স্টলটেনবার্গ এবং জনসন উভয়েই মনে করেন যে, ইউক্রেনকে আরও বেশি অস্ত্র দিলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সানডে টাইমসে প্রকাশিত এক লেখায় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন এই যুদ্ধের জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ী। তিনি নির্মমতার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে চাইছেন।

এদিকে শনিবার মস্কোর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউক্রেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা।

গত মার্চে কিয়েভ দখলে করার চেষ্টা করলেও ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধে তা পারেননি রুশ সেনারা। রুশ ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে মস্কো বর্তমানে দনবাস ভূখন্ড দখলের চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ খবর