বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

তাইওয়ানের আকাশসীমায় এবার ২৯ চীনা যুদ্ধবিমান

তাইওয়ানের আকাশসীমায় এবার ২৯ চীনা যুদ্ধবিমান

আবারও তাইওয়ানের স্বঘোষিত আকাশ প্রতিরক্ষা জোনের (এডিআইজি) মধ্যে যুদ্ধবিমান পাঠাল চীন। মঙ্গলবার প্রায় ২৯টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের এডিআইজিতে প্রবেশ করে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন মডেলের যুদ্ধবিমান ছিল চীনের এই বহরে। খবর : সিএনএন। খবরে জানানো হয়, প্রায়ই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অধীনে থাকা অঞ্চলে প্রবেশ করে চীনা যুদ্ধবিমান। এর মাধ্যমে তাইওয়ানকে সতর্ক করার চেষ্টা করে বেইজিং। এবার প্রায় ২৯টি বিমান নিয়ে তাইওয়ানকে শাসিয়ে গেল চীন, যা সংখ্যার হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

চীনের সর্বশেষ এই বিমানবহরে ছিল ১৭টি জঙ্গি বিমান ও ছয়টি এইচ-৬ বোম্বার। এ ছাড়া ছিল ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, পূর্বসতর্কতা, সাবমেরিনবিরোধী এবং আকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী একটি উড়োজাহাজ। এর আগে মাত্র দুবার এর চেয়ে বড় বহর নিয়ে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রিত আকাশে প্রবেশ করেছিল চীন।  তবে এবার চীনা বিমানকে হটিয়ে দিতে পাল্টা বিমান পাঠিয়েছিল তাইওয়ানও। তারা প্রথমে রেডিওর মাধ্যমে সতর্কতা বার্তা পাঠায় চীনা বিমানকে।

এরপর নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা মিসাইলগুলোও প্রস্তুত রাখে সতর্কতা হিসেবে। তাইওয়ান এবং চীনের মূল ভূমি গত ৭০ বছর ধরে আলাদাভাবে চলছে। যদিও চীন একে নিজের অংশ মনে করে। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। যদিও বিশ্বের বড় একটি অংশ এখনো তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয়নি।

চীন সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার তাইওয়ান দখলে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে চাপে রাখতে প্রায়ই যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে হুমকি প্রদর্শনও করছে বেইজিং। সর্বশেষ চীনা বহর নিয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, চীনা বহরের কিছু উড়োজাহাজ প্রতাস দ্বীপপুঞ্জের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। একটি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ও একটি গোয়েন্দা উড়োজাহাজকে সঙ্গী করে বাশি চ্যানেলের দিকে উড়ে যায় বোম্বারগুলো। চ্যানেলটি তাইওয়ানকে ফিলিপাইন থেকে আলাদা করেছে। এরপর প্রশান্ত মহাসাগর হয়ে বহরটি চীনে ফিরে আসে।

সর্বশেষ খবর