মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

উগান্ডায় বিশাল ‘স্বর্ণখনি’

উগান্ডায় বিশাল ‘স্বর্ণখনি’

পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আকরিকের সন্ধান মিলেছে। এর পরিমাণ প্রায় ৩১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ ট্রিলিয়ন ডলার। উগান্ডার জ্বালানি ও খনিজ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সলোমন মুয়িতা বলেছেন, এ রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য ক্রিপ্টো খাতে সোনার খনির মালিক ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা। এরমধ্য দিয়ে দরিদ্র্যপীড়িত দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার বদলের আশা করা হচ্ছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত মাসে ৩ কোটি ১০ লাখ টন স্বর্ণ আকরিকের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োরি মুসেভেনি। ধারণা করা হচ্ছে, পরিশোধনের পর এ থেকে অন্তত ৩ লাখ ২০ হাজার টন বিশুদ্ধ স্বর্ণ পাওয়া যাবে। এ কাজে বিদেশি বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে বিনিয়োগ আশা করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় ছয়টি স্বর্ণ পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে ইয়োরি মুসেভেনি বলেন, উগান্ডা থেকে অপরিশোধিত স্বর্ণ রপ্তানির সময় শেষ। উগান্ডার সংবাদমাধ্যম ডেইল মনিটরকে দেশটির জ্বালানি ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সলোমন মুয়িতা জানিয়েছেন, তাদের স্বর্ণসমৃদ্ধ এলাকাগুলো পূর্বউগান্ডার বুসিয়া ও ক্যারামোজা, মধ্য উগান্ডার ক্যামেলেং, কিসিটা, এনগুগো এবং পশ্চিম উগান্ডার বুশেনিতে অবস্থিত। দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য উগান্ডা সরকার বুসিয়া জেলায় সোনার পণ্য উৎপাদন শুরু করতে চীনা প্রতিষ্ঠান ওয়াগাগাই গোল্ড মাইনিং কোম্পানিকে লাইসেন্স দিয়েছে।

কোম্পানিটি ২০১৬ সালে বুসিয়া জেলায় পর্যায়ক্রমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ শোধনাগার নির্মাণের কাজ শুরু করে। নাসডাকের প্রতিবেদন অনুসারে, মুয়িতা বলেছেন, আবিষ্কৃত সোনা এ মুহূর্তেই খনন শুরু করা সম্ভব।

ওয়াগাগাই গোল্ড মাইনিং কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার তান চুন চি বলেছেন, তাদের বিনিয়োগ ৬০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

কোম্পানিটি সম্প্রতি চলতি বছরের মার্চে একটি স্বর্ণ উৎপাদনের লাইসেন্স পেয়েছে। এ ছাড়া উগান্ডায় স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য ২১ বছরের ইজারা পেয়েছে প্রতিস্থান্তি। ২০২৩ সালের জুলাই নাগাদ তারা স্বর্ণ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করছে। একটি পরিশোধনাগার নির্মাণের জন্য ওয়াগাগাই গোল্ড মাইনিং কোম্পানি ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

উগান্ডায় বিপুল পরিমাণ সোনা আবিষ্কৃত হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে স্বর্ণ উত্তোলনে অনেক রকমের অসুবিধা রয়েছে। এর ফলে স্বর্ণ উত্তোলনের পরিমাণ প্রভাবিত হয়। প্রতি বছর দেশটিতে প্রায় আড়াই থেকে ৩ হাজার মেট্রিক টন সোনা উত্তোলন করা হয়।

সর্বশেষ খবর