বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়াকে শায়েস্তায় জি-২০ ব্যবহার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

জি-২০ সম্মেলন আজ শুরু

রাশিয়াকে শায়েস্তায় জি-২০ ব্যবহার করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে যেসব সমুদ্রপথ অবরুদ্ধ হয়ে আছে সেগুলো খোলার জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় সমর্থন দিতে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য জি-২০ ভুক্তি জাতিগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অ্যান্টনি ব্লিনকেন চলতি সপ্তাহেই এ আহ্বান জানাবেন এবং মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টায় চীন যেন সমর্থন না দেয় সেজন্য বেইজিংকে আবার সতর্ক করবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। অর্থাৎ এখন জি-২০ সংগঠন দিয়ে রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি (সাইডলাইন) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। খবর আল-জাজিরার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন না বলে মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যোগ দিতে গতকাল এশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ব্লিনকেন। তিনি এই সফরে অক্টোবরের পর থেকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। জি-২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এবারের বৈঠক বাদানুবাদপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর এ জন্য মস্কোকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা। অপরদিকে এ সমস্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আরোপ করা কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়েই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য রপ্তানিকারী দেশ হওয়ায় একই সঙ্গে যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও ব্যবসা সংক্রান্ত সহকারী মন্ত্রী রামিন টোলোই সাংবাদিকদের বলেছেন, জি-২০র ওই বৈঠকে ব্লিনকেন জ্বালানি নিরাপত্তা, ইউক্রেন ও রাশিয়ার খাদ্যদ্রব্য এবং সার বিশ্ববাজারে ফিরিয়ে আনার জাতিসংঘের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলবেন। ‘জি-২০ দেশগুলোর উচিত রাশিয়াকে জবাবদিহি করানো এবং খাদ্যশস্য সরবরাহের জন্য সমুদ্রপথগুলো ফের খোলার জাতিসংঘের চলমান উদ্যোগগুলোতে তাদের সমর্থন আছে এটি জোর দিয়ে বলা। এটা জি-২০ পর্যায়েই হোক আর জি-২০ দেশগুলোর স্বতন্ত্র পর্যায়েই হোক, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন (বাস্তবায়ন) করবেন,’ বলেন টোলোই। তাদের রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজগুলোর চলাচল বন্ধ করে রাখার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন। দেশটি জানিয়েছে, তাদের খাদ্যশস্য রপ্তানির সুরক্ষার জামিনদার হতে তারা তুরস্ক ও জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিয়েভের অভিযোগের জবাবে রাশিয়া বলেছে, তারা খাদ্যশস্যবাহী কোনো জাহাজ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেনি বরং তাদের রপ্তানি পণ্যবাহী জাহাজের চলাচল বন্ধ থাকার জন্য ইউক্রেন নিজেই দায়ী, কারণ নিজেদের বন্দরগুলোতে মাইন পুঁতে রেখেছে তারা।

আজ থেকে জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত। নভেম্বরের শীর্ষ সম্মেলন সামনে রেখে এর আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। ওই সম্মেলনও ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।

সর্বশেষ খবর