শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃহস্পতির ‘চোখ ধাঁধানো’ ছবি

বৃহস্পতির ‘চোখ ধাঁধানো’ ছবি

মহাশূন্য নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। কারণ এটি একটির পর একটি মহাশূন্যের ছবি পাঠিয়ে এই মহাবিশ্বকে নতুন করে জানান দিচ্ছে। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতি গ্রহের চোখ ধাঁধানো ছবি প্রকাশ করেছে নাসা, তাতে সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহটির বলয় ছাড়াও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে এর তিন চাঁদ- ইউরোপা, থিব ও মেটিস। ছবিগুলো প্রকাশ করেছে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি (সিএসএ)। এই টেলিস্কোপ দিয়ে তোলা এসএমএসিএস ০৭২৩ নামের একটি নীহারিকাপুঞ্জের ছবি গত ১২ জুলাই হোয়াইট হাউসে প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পর থেকে আরও ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। ওয়েবের যন্ত্রপাতি গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত কি না, তা যাচাই করতে ১২ জুলাইয়ের আগে তিনবার বৃহস্পতির ছবি তুলেছেন নাসার গবেষকরা। সেই ছবিগুলো এখন প্রকাশ করা হচ্ছে ‘স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট’-এর ‘মিকালস্কি আর্কাইভ ফর স্পেস টেলিস্কোপ’-এ। প্রথম ছবিতে বৃহস্পতিবার বলয় দেখা না গেলেও আছে গ্রহটির চাঁদ ইউরোপা। এমনকি ‘গ্রেট রেড স্পট’ নামে পরিচিত বৃহস্পতির পৃষ্ঠের দানবীয় ঝড়টিও দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। নাসা বলছে, এই ঝড় এতটাই বড় যে পুরো পৃথিবীকে গিলে খেতে পারবে। তবে ওয়েব টেলিস্কোপের ‘নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা’ বা এনআইআরক্যামের শর্ট-ওয়েভলেন্থ ফিল্টারের মাধ্যমে তোলা ছবিগুলোর প্রক্রিয়াজাত করার কৌশলের কারলে লাল রঙের বদলে সাদা রঙে ফুটে উঠেছে ‘গ্রেট রেড স্পট’। স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের গবেষক ব্রায়ান হলার বলেছেন, ‘সেদিন প্রকাশ করা ডিপ ফিল্ড ছবি আর বৃহস্পতির নতুন ছবিগুলো মিলে ওয়েবের পূর্ণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে; বহু দূরের অস্পষ্ট ছায়াপথ থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিবেশী গ্রহের ছবি যা আপনি খালি চোখে নিজের উঠান থেকেই দেখতে পারেন।’ নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী স্টেফানি মিলাম বলেন, ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে আমরা সব কিছু এত স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম, আর কত উজ্জ্বল ছিল সবকিছু।’ নিজেদের ওয়েবসাইটে নাসা বলেছে, এই ছবিগুলো প্রমাণ করছে, বৃহস্পতি, শনি এবং মঙ্গলের মতো উজ্জ্বল গ্রহগুলোকে ঘিরে থাকা বলয় আর উপগ্রহ পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা আছে ওয়েব টেলিস্কোপের।

সর্বশেষ খবর