শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

অবশেষে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি

অবশেষে খাদ্যশস্য রপ্তানিতে রাশিয়া-ইউক্রেন চুক্তি

ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে কয়েক মাস আলোচনার পর গতকাল কৃষ্ণ সাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলে এই চুক্তি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হলো।

গুতেরেস জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পাঁচ মাসের সংঘর্ষের কারণে অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার লক্ষ্যে এ চুক্তি করা হয়েছে।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা মস্কোকে খাদ্য সরবরাহকে ‘অস্ত্রীকরণ’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। জাতিসংঘ ও বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার এই অবরোধ বিশ্বের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। তবে এই চুক্তির ফলে ইউক্রেনে আটকা পড়া শস্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। এতে করে গত কয়েক মাস ধরে বিশ্বে খাদ্যের যে উচ্চ মূল্য দেখা যাচ্ছে তা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আল-জাজিরা জানায়, তুরস্ক এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করছে। জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন এক টুইটবার্তায় জানান, শস্য রপ্তানি চুক্তিটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সফল হয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকটে পড়েছে অনেক দেশ। গত দুই মাস ধরে খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে যুদ্ধরত দেশগুলোর সঙ্গে দফায়-দফায়  আলোচনা করে আসছে জাতিসংঘ ও তুরস্ক।     অবশেষে সেই উদ্যোগ সফল হলো। বিশ্বে খাদ্যের ১০ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈশ্বিক গম রপ্তানির ৩০ শতাংশের পাশাপাশি সূর্যমুখী তেলের ৬০ শতাংশ উৎপাদন করে তারা। কমপক্ষে ২৬ দেশ তাদের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্যশস্যের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।

এই চুক্তির ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রপ্তানি চালু করতে পারবে ইউক্রেন। দেশটিকে এ  জন্য যথাযথ নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে রাশিয়া। এখন পর্যন্ত  দেশটির ওডেসা বন্দর রুশ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত আছে। সেখান দিয়েই এই পণ্য কৃষ্ণ সাগর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পাঠানো হবে।

শত কোটি মানুষকে রক্ষা করবে- এরদোগান : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, খাদ্যশস্য পরিবহনে রাশিয়া-ইউক্রেনের এই চুক্তির ফলে শত কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে আমরা ব্যাপক কাজ করেছি, রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিবৃন্দের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রেখেছি। শিগগিরই খাদ্যশস্য পরিবহনের চালান আরম্ভ হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা স্বস্তির নিঃশ্বাস আনবে।

সর্বশেষ খবর