শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্রিটেনের রানির থেকেও বেশি সম্পত্তির মালিক ঋষি সুনাক

ব্রিটেনের রানির থেকেও বেশি সম্পত্তির মালিক ঋষি সুনাক

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে থাকা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকের সম্পত্তির মোট পরিমাণ ব্রিটেনের রানির থেকেও বেশি। ঋষির একটি পরিচয় তিনি ভারতের অন্যতম প্রধান প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস কোম্পানির প্রধান নারায়ণ মূর্তির জামাই। অবশ্য তার সম্পত্তির বেশির ভাগটাই তার স্ত্রী অক্ষতার। কোম্পানিতে অক্ষতার শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪৩ কোটি পাউন্ড। যা ব্রিটেনের রানির থেকেও বেশি। সুনাক এবং তার স্ত্রী দুজনের সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৭৩ কোটি পাউন্ড। এর পাশাপাশি ভারতে অ্যামাজনের সঙ্গে অক্ষতার পরিবারের ৯০ কোটি পাউন্ডের যৌথ উদ্যোগ রয়েছে। অক্ষতা মূর্তি নিজে ব্রিটেনে একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির মালিক। এ ছাড়াও ব্রিটেনের অন্যান্য পাঁচটি কোম্পানিতে ডিরেক্টর অথবা সরাসরি শেয়ারহোল্ডার হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসে অক্ষতা মূর্তির অংশীদারিত্ব এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত আয় বাবদ ব্রিটেনে কর না দেওয়া নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে ঋষি বলেন, ‘আমি ব্রিটেনের করদাতা। আমার স্ত্রী অন্য দেশের। তাই তাঁর ক্ষেত্রে নিয়মটা আলাদা। বিষয়টা মিটে গিয়েছে।’ ঋষি ব্রিটেনের নাগরিক হলেও, তাঁর স্ত্রী সে দেশের পাসপোর্ট নেননি। অক্ষতার যুক্তি, ভারতের নাগরিক হিসেবে তাঁর দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ নেই। ব্রিটেনের কর ব্যবস্থায় অক্ষতা ‘নন-ডোমিসাইলড’ হিসেবে চিহ্নিত। যাঁরা ব্রিটেনের স্থায়ী নাগরিক নন, তাঁদের এই তকমা দেওয়া হয়। বিদেশ থেকে তিনি যে আয় করেন তার জন্য ব্রিটেনে তাঁকে কর দিতে হয় না। ইনভেস্টর ব্যাংকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ঋষি।

রাজনীতিতে নামার আগে তিনি ছিলেন পুরোদস্তুর একজন বিনিয়োগ ব্যবসায়ী। ব্রিটেনের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের তিনি ছিলেন একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা। ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি থেকে বেঙ্গালুরু তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা সবখানেই ছিল তাঁর সংস্থার বিনিয়োগ। ২০১৫ সালে কনজারভেটিভের হয়ে ভোট দাঁড়িয়ে রিচমন্ড ইয়র্কশায়ার থেকে জিতে সংসদ সদস্য হন তিনি। তারপর আর তাঁকে  পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দলে ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন ঋষি। বরিসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর একনিষ্ঠ সমর্থন ছিলেন তিনি। ফলে তাঁর মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ঋষি। সরকারি মুখপাত্র হিসেবে তাঁকে টিভি-রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পাঠাতেন বরিস। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার প্রচারে তিনি বরিসের সঙ্গী ছিলেন। মহামারির সময় ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীদের জন্য বিপুল অর্থমূল্যের আর্থিক প্যাকেজ তৈরি করে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ঋষি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঋষির বিরোধিতার কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সর্বশেষ খবর