পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত রিপোর্ট গতকাল জমা দিয়েছে ভুবনেশ্বর এইমস-এর মেডিকেল বোর্ড। তাতে বলা হয়, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিডনি, হৃদযন্ত্র, রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তাঁর শরীরিক অবস্থা গুরুতর নয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না।’ এরপর গতকালই আদালতে ইডি আবেদন করেছে, পার্থকে ১৪ দিনের জন্য তাদের হেফাজতে পাঠানো হোক। পার্থর আইনজীবী দেবাশিস রায় এই আবেদনের বিরুদ্ধে যুক্তি দেন, ‘২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পার্থর বাড়িতে ছিল ইডি। তার পর গ্রেফতার করা হয়। ইডির হেফাজত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হিসাব করলে দেখা যাবে, ইতোমধ্যে পার্থ তিন দিন ইডির হেফাজতে রয়েছেন।’ এদিকে মন্ত্রিসভার সহকর্মী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জানিয়ে দিলেন, দল এবং সরকারের সঙ্গে ওই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। মমতার কথায়, ‘আমি মানুষের দল করি। মানুষ যা চাইবে, আমি তা-ই করব। দল বা সরকার এর সঙ্গে রিলেটেড (সম্পর্কযুক্ত) নয়।’
পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এত টাকা তোলা হয়েছে, তা তিনি জানতেন না। কারণ, বিষয়টি কেউ তাঁর গোচরে আনেননি। পার্থ প্রসঙ্গে সরাসরি নাম না করেও মমতার বক্তব্য, ‘কেউ অন্যায় করে থাকলে কোর্ট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। আমার আইন-আদালতের ওপর ভরসা আছে।’