শিরোনাম
রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন দেশে বন্যায় ৮৮ জনের প্রাণহানি

তিন দেশে বন্যায় ৮৮ জনের প্রাণহানি

ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভারী বর্ষণ থেকে সৃষ্ট বন্যায় কমপক্ষে ৮৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে শুধু ইরানে মারা গেছে ৫৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ জন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ : ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া এখনো ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আকস্মিক প্রবল বর্ষণ থেকে এই প্রাণঘাতী বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান মেহেদি ওয়ালিপুর জানান, গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এ পর্যন্ত ইরানের ২১টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে লোরেস্তান, চাহারমহাল, বাখতিয়ারি, ইস্পাহান ও তেহরান প্রদেশ। গত রাতে এইসব প্রদেশে বন্যায় অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইরানি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান আরও জানান, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০ মানুষকে জরুরিভিত্তিতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক সরকারি হিসাবে রাজধানী তেহরানের পাশে ইমামযাদে দাউদ এলাকায় মৃতের সংখ্যা ৭ বলে জানানো হয়। এ ছাড়া সেখানে ১৪ জন নিখোঁজ ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।

কেন্টাকিতে শিশুসহ ২৫ জনের মৃত্যু : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বন্যায় ছয় শিশুসহ অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টিপাতে দেখা দেওয়া বন্যায় রাস্তা, ঘরবাড়ি তলিয়ে যায় এবং নদীগুলোর পানি পাড় উপচে পড়ে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কেন্টাকির অ্যাপলাচিন কয়লাখনি অঞ্চলের বাড়ি ও গাড়ি থেকে কয়েক ডজন লোককে উদ্ধারে পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা হেলিকপ্টার ও নৌকা ব্যবহার করে। স্থানীয় গণমাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, বন্যার পানি বাড়ির ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এবং রাস্তাগুলোকে নদীর মতো দেখাচ্ছে। শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ‘বন্যা এখনো শেষ হয়নি। আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এখনো বাস্তব ঝুঁকি রয়ে গেছে।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীর মৃত্যু : সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশজুড়ে সাম্প্রতিক বন্যার পর সাতজন প্রবাসীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃতরা সবাই এশিয়া মহাদেশের লোক বলে শুক্রবার জানিয়েছে তারা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। টুইটারে মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, বন্যায় নিখোঁজ একজন প্রবাসী এশীয়কে মৃত পাওয়ার পর থেকে মৃতের সংখ্যা হালনাগাদ করতে শুরু করেছে তারা। বিরল এক প্রাকৃতিক ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুরো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও প্রতিবেশী কাতারজুড়ে ভারী বৃষ্টি হয়। বিবিসি

এতে বহু এলাকায় রাস্তা, ঘরবাড়ি ডুবে যায়। বহু লোক হোটেলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, বন্যায় রাস আল খাইমাহ, শারজাহ ও ফুজাইরাহ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফিল্ড ইউনিটগুলো এখনো এসব আমিরাতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে শারজাহ ও ফুজাইরাহ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। পাহাড়ি এলাকা ও উপত্যকা বেষ্টিত ফুজাইরাহে ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে শারজাহ ও ফুজাইরাহ থেকে লোকজনকে উদ্ধার করতে দেখা গেছে।

 

সর্বশেষ খবর