শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখছে যুক্তরাজ্য

বিভিন্ন প্রান্তে খরা ঘোষণা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখছে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের থেটফোর্ডের ইউস্টন এস্টেট খামারের পরিচালক অ্যান্ড্রু বেনকিরন একজন সফল কৃষক। এবার তার মাথায় হাত। কারণ পানির কারণে তিনি এবার প্রত্যাশা মতো ভুট্টার ফলন পাচ্ছেন না। তবে শুধু পানি নয় এর সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে আকাশচুম্বী জ্বালানির দাম, খরা এবং ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ -এএফপি

ইংল্যান্ড বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শীতে জবুথবু, বরফে আচ্ছাদিত জনপথ। অথচ মানসপটের সেই দৃশ্য পুরো পাল্টে গেছে। গরমে হাঁসফাঁস চারদিক, নদী শুকিয়ে কাঠ আর তারা করছে দাবানল। বিজ্ঞানীরা এই অবস্থার জন্য দায়ী করছে জলবায়ু পরিবর্তনকে, যার জন্য দায়ী মানুষের স্বেচ্ছাচারিতা। পুরো ইংল্যান্ডে বৃষ্টির দেখা নেই বহুদিন। পরিস্থিতি এমনই যে দক্ষিণ, মধ্য এবং পূর্ব ইংল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকা খরার কবলে পড়েছে বলে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে এমন অবস্থা দেখেনি বিলেত। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ বলছে, ১৯৩৫-এর পর এত শুষ্ক মৌসুম আর দেখেনি ইংল্যান্ড। এ মাসে এখনো পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত নথিভুক্ত হয়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিস্তীর্ণ অংশে আগামী চার দিন প্রবল গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেনের পানিসম্পদমন্ত্রী স্টিভ জানিয়েছেন, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে পানির সমস্যা না হয় সে জন্য সব ব্যবস্থা ঠিক রাখা হয়েছে।

প্রচণ্ড উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর উৎস অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় শুকিয়ে গেছে। ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত টেমস নদীর দৈর্ঘ্য ২১৫ মাইল। প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ এ নদীর উৎস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর আগের বছরগুলোর তুলনায় নদীর পানি অনেক কমে গেছে। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে চার দিনের ‘চরম তাপমাত্রা’জনিত সতর্কতা কার্যকর করা হয়েছে। গত মাসে যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছানোর পর দেশটির আবহাওয়া দফতর প্রথমবারের মতো এ ধরনের সতর্কতা জারি করেছিল। এটি ছিল যুক্তরাজ্যের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

সর্বশেষ খবর