বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বিলুপ্ত তাসমানিয়ান বাঘ ফিরিয়ে আনার আশা

বিলুপ্ত তাসমানিয়ান বাঘ ফিরিয়ে আনার আশা

১৯৩০ সালের আগে অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া ও পাপুয়া নিউগিনির বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যেত এক বিশেষ জাতের প্রাণীকে। তার মুখ আর দেহটা দেখতে কুকরের মতো। পিঠে বাঘের মতো কালো ডোরাকাটা দাগ। আর লেজটা ক্যাঙ্গারুর লেজের মতো। যেন তিনটি প্রাণী মিলে বিশেষ এক জাতের প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছে। বলা হচ্ছে অদ্ভুতুড়ে এক প্রাণীর কথা যার নাম থাইলাসিন। এদের তাসমানিয়ান টাইগার নামেও ডাকা হতো। তাসমানিয়াতেই কমপক্ষে ৫ হাজার থাইলাসিনের বসবাস ছিল। তবে ধীরে ধীরে বিলুপ্তি ঘটতে থাকে প্রাণীটির। শেষ থাইলাসিনটি দেখা গিয়েছিল ১৯৩০ সালে। এক শিকারির গুলিতে মারা যায় সে। অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রাণীটিকে সংরক্ষিত করার ঘোষণা করলেও চিড়িয়াখানায় থাকা সর্বশেষ থাইলাসিনটিও মারা যায়। ১৯৮৬ সালে প্রাণীটিকে সরকারিভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি কিছু রিপোর্ট বলছে অস্ট্রেলিয়ার পাপুয়া নিউগিনি এবং তাসমানিয়ায় থাইলাসিনদের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গবেষক অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পাস্ক বলেন, ‘প্রায় এক শতাব্দী আগে বিলুপ্তি হওয়া এ জীবটির ডিএনএ থেকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা প্রথম জীবিত শিশু থাইলাসিন পেতে পারি।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জাদুঘরের কাছে থাইলাসিনদের নিয়ে ব্যাপক সংগ্রহ রয়েছে। এসব সংগ্রহের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওয়েট স্পেসিমেন (তরলে সংরক্ষিত জৈবিক নমুনা)। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার অ্যানাটমি ইনস্টিটিউটের সংগ্রহে রয়েছে দুটি থাইলাসিনের চামড়া, কঙ্কাল এবং ৩০ টিরও বেশি দেহাংশ। যা থাইলাসিন ক্লোনিংয়ে সাহায্য করবে।

তাসমানিয়ান বাঘ নিয়ে বর্তমান প্রকল্পটি মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কলোসাল’-এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর