শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্রীলঙ্কার পথে পাকিস্তান?

শ্রীলঙ্কার পথে পাকিস্তান?

প্রথমে ইমরান খান এবং পরে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নীতির কারণে দেশের ঋণ গিয়ে ঠেকেছে ৬০ লাখ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে। এর সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে মুদ্রাবাজার ক্রমেই দুর্বল হওয়া। ফলে দিন দিন দুর্বলতর হয়ে উঠছে পাকিস্তানি রুপি। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের হাতে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে এসেছে প্রায় ৯৩৯ কোটি ডলারে, যা দিয়ে দুই মাসেরও আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। যদিও এক বছরের মধ্যে ২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে দেশটিকে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বেইলআউট হিসেবে কিছু অর্থ পাওয়া গেলেও তা খুবই অপ্রতুল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা বলছেন, এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার পরিণতির সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা দেশগুলোর একটি হলো পাকিস্তান। সম্প্রতি পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংক দেশের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত এক অর্থবছরে পাকিস্তানের সরকারি ঋণ ছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। কিন্তু ২০২২ সালের জুনের শেষে এই ঋণ রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়ে হয় ৪৯ লাখ ২০ হাজার কোটি। এখানেই শেষ নয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ঋণ সংক্রান্ত যে বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে জাতীয় অর্থনীতির তুলনায় ঋণের পরিমাণ বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ সপ্তাহে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি হ্রাস পেয়েছে বৈদেশিক রিজার্ভ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতায় এসে তার পূর্ববর্তী সরকারদের কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, দেশকে ঋণে জর্জরিত করেছে আগের সরকার। দেশবাসীকে এই ঋণের বোঝা থেকে উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তথ্য বলছে, তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকারে ৪৩ মাসে ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ হয়েছিল। অতীতে অর্থনৈতিক সংকটের সময় চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে এসে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার দেশটির কূটনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সৌদি আরবের সঙ্গে ইমরান খানের আমলে সৃষ্ট দূরত্ব এখনো ঘোচানো সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর