শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

এক মঞ্চে আসছেন পুতিন জিন পিং-বাইডেন

এক মঞ্চে আসছেন পুতিন জিন পিং-বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু মানেই রাশিয়ার শত্রু একইভাবে রাশিয়ার বন্ধু মানেই যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী আরও এক শত্রুর আবির্ভাব হয়েছে। তা হলো চীন। দুই দেশ মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটা দৌড়ের ওপর রেখেছে।  একদিকে রাশিয়া ইউক্রেন দখল করতে যুদ্ধ শুরু করেছে অন্য দিকে চীন তাইওয়ানকে পুরোপুরি নিজের কব্জায় রাখার সব আয়োজন শেষ করেছে।

এর মধ্যে  ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো জানালেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই মুখোমুখি বসছেন। আর সেটা জি-২০ সম্মেলনে। নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এই সম্মেলনের। সেই সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ সময় তিনি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না তা পরিষ্কার নয়। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জোকো বলেন, শি জিনপিং আসবেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনও আমাকে বলেছেন, তিনি আসবেন। সম্মেলনটিতে দুই নেতার যোগ দেওয়ার বিষয়ে এ প্রথম নিশ্চিত করা হলো। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর এটিই হবে প্রথম বৈশ্বিক শীর্ষ সম্মেলন। আর এটি হতে যাচ্ছে ২০২০ সালের জানুয়ারির পর শি জিনপিংয়ের প্রথম বিদেশ সফর। সে সময় বেইজিং করোনার কারণে তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পর তিনি শুধু হংকংয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১ জুলাই মূল ভূখে র বাইরে গিয়েছিলেন।

এদিকে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে যে, সম্মেলনের আগে বা সাইডলাইনে বাইডেন ও শির মধ্যে সরাসরি সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাইওয়ানে ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর থেকেই ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কে ভাটা দেখা দিয়েছে। সফরের পর পরই তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের এবং তা মূল ভূখ  থেকে বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ। যুক্তরাষ্ট্র এ সামরিক মহড়ার নিন্দা জানিয়েছে। আর এ মহড়াকে তাইওয়ান বলছে, আগ্রাসন চালানোর অনুশীলন।

এদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোয় জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া এবং সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য পুতিনকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া সে পথে হাঁটেনি। জোকো বলেন, শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ সত্যিই উদ্বেগের। আমরা এ অঞ্চলের জন্য যা চাই তা হলো, স্থিতিশীলতা ও শান্তি, যাতে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে তুলতে পারি। এ সপ্তাহের আগে জোকো বলেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনে তার দেশকে ‘শান্তির সেতু’ হিসেবে নিয়েছে।

জুনে এশিয়ার প্রথম নেতা হিসেবে কিয়েভ ও মস্কো সফর করেন জোকো উইদোদো। এ সময় তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকে জোকো যুদ্ধ বন্ধ এবং বৈশ্বিক খাদ্য সংকট দূর করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর