সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় ভারত ও চীন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবার বন্ধ হোক। কিন্তু কীভাবে? অবশ্যই সেটা আলোচনার মাধ্যমে। এই আহ্বান জানাল এশিয়ার দুই পরাশক্তি ও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ চীন ও ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বা বিশ্ব নেতাদের সবচেয়ে বড় জমায়েত। সেই অধিবেশনেই ওই সংঘাত অবসানে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছেন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। চলমান সংকট ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রভাবিত না করতে শনিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। বলেন, ইউক্রেন সংকট শান্তিপূর্ণ সমাধানে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে চীন। যদিও ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার কয়েক দিন আগেও যারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ‘অটুট’ বন্ধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।

কিন্তু সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, সর্বাধিক অগ্রাধিকার হলো শান্তির জন্য আলোচনার পথ তৈরি করা। আসল সমাধান হলো সব পক্ষের নিরাপত্তা উদ্বেগকে মোকাবিলা করা এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর ও টেকসই নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা।

আবার ওই অধিবেশনেই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘে পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘ভয়ংকর’ প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ওয়াং ই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে বৈঠক করেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি ছিল তাঁদের প্রথম বৈঠক। চলতি মাসের শুরুতে সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন সম্পর্কে চীনের ‘উদ্বেগের’ কথা স্বীকার করেছিলেন পুতিন। এদিকে জাতিসংঘে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘ইউক্রেন সংঘাত ক্রমাগত উত্তপ্ত হওয়ার কারণে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় আমরা কোন পক্ষের। এ ক্ষেত্রে আমাদের উত্তর সব সময় একই। আমাদের অবস্থান সব সময়ই পরিষ্কার ও সৎ। ভারত শান্তির পক্ষে এবং দৃঢ়ভাবে এ অবস্থানে থাকবে। আমরা তাদের পক্ষে রয়েছি, যারা একমাত্র পথ হিসেবে আলোচনা ও কূটনীতির আহ্বান জানায়।’ উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে উজবেকিস্তানে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন ইউক্রেন নিয়ে ভারত ও চীন উভয় দেশের নেতা পুতিনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ খবর