সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃহস্পতির আরও কাছে নাসার জুনো

♦ প্রায় এক যুগ আগে বৃহস্পতি গ্রহকে জানতে নাসা জুনো মিশন মহাশূন্যে পাঠায় ♦ মহাকাশযানটি গতকাল গ্রহটির চাঁদ ইউরোপার সবচেয়ে কাছে পৌঁছেছে

বৃহস্পতির আরও কাছে নাসার জুনো

আমাদের সৌরজগতের ‘মাতবর’ গ্রহ বৃহস্পতি। এই গ্রহের আদ্যোপান্ত জানতে কাজ করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। এ জন্য সংস্থাটি প্রায় এক যুগ আগে একটি যান পাঠিয়েছে নাম ‘জুনো মিশন’। এটি গ্রহটির খুব কাছাকাছিও পৌঁছেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আজই গ্রহটির অবস্থান থাকবে।

এর মধ্যে জুনো মহাকাশযানটি বৃহস্পতির বরফ-ঢাকা উপগ্রহ বা চাঁদ ইউরোপার পৃষ্ঠের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আজ এটি ইউরোপার ২২২ মাইল (৩৫৮ কিলোমিটার) মধ্যে আসবে। সৌরচালিত মহাকাশযানটি ইউরোপের ভূপৃষ্ঠের কিছু অংশে তোলা সর্বোচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বৃহস্পতির চুম্বকমন্ডলের সঙ্গে এর মিথস্ক্রিয়াসহ চাঁদের অভ্যন্তর, পৃষ্ঠের গঠন এবং আয়নোস্ফিয়ারের মূল্যবান ডেটা সংগ্রহ করবে। এই ধরনের তথ্য এজেন্সির ইউরোপা ক্লিপারসহ ভবিষ্যতের মিশনগুলোকে উপকৃত করতে পারে। যা ২০২৪ সালে বরফের চাঁদ সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সান অ্যান্তোনিওর সাউথ-ওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জুনোর প্রধান তদন্তকারী স্কট বোল্টন বলেছেন, ‘ইউরোপা একটি আকর্ষণীয় বৃহম্পতির চাঁদ, এটি তার নিজের ভবিষ্যতের নাসার মিশনের কেন্দ্রবিন্দু। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তাতে অনেক খুশি। শিগগিরই এই বরফের জগতে নতুন বৈজ্ঞানিক অন্তরদৃষ্টি প্রদান করতে পারব।

উল্লেখ্য, ১১ বছর ধরে মহাকাশে রয়েছে ওই যানটি। ২০২৫ সালে এর মিশন শেষ হবে। অনেক নতুন তথ্যও সামনে এসেছে। আগামী দুই থেকে তিন বছরে আরও অনেক সমীকরণ বদলে দেবে জুনো- এমন দাবি করেছে নাসা। যানটি বৃহস্পতি গ্রহের কিছু নতুন ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইও এবং ইউরোপার ছবি। উল্লেখ্য, সৌরজগতে সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে আইওতে। এদিকে ইউরোপা এই মুহূর্তে বরফে আচ্ছন্ন। গবেষকদের দাবি, ওই বরফের নিচেই পানি পরিপূর্ণ বিশাল সাগর রয়েছে।

সর্বশেষ খবর