শিরোনাম
সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশ্বজুড়ে অসহিষ্ণুতার মধ্যেও সহিষ্ণুতার বার্তা

মধ্য কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বলতেই এক কথায় যা সবার কাছেই সিপিআইএম’এর রাজ্য সদর দফতর বলেই পরিচিত। কিন্তু আদৌ তা নয়। মুসলিম অধ্যুষিত এই অঞ্চলের ৩০ নম্বর পার্ট- যেখানে ৯৬০ জন মানুষের বসবাস। এর মধ্যে একটি মাত্র পরিবারের তিনজন সদস্য হিন্দু পরিবারের। জয়ন্ত সেন ওরফে বিচকু, তার স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে সায়ন্ত। আর এই একটি মাত্র হিন্দু পরিবারের জন্যই দুর্গাপূজার আয়োজন করে থাকে কলকাতার এই মহল্লার মুসলিম সম্প্রদায়। শারদীয়ার উৎসবে মেতে ওঠেন ওই ৩০ নম্বর পার্টের বাকি ৯৫৭ জন মানুষ। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে প্যান্ডেল তৈরি করা, প্রতিমা আনা, বাজার করা, পুজোর চার দিন ভোগ রাঁধা বা দর্শনার্থীদের স্বাগত করা- সবই করেন তৌসিফ, শাকিল, আমজাদ বা জাকিররা। এমনকি এই দুর্গাপুজোর যাবতীয় খরচ বহন করে ওই ৩০ নম্বর পার্ট- এর মুসলিম পরিবারের সদস্যরাই।

ওই যে, কথায় আছে না ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। তাই ইফতার পার্টি, ঈদ, শবেবরাতসহ মুসলিমদের যে কোনো উৎসবে যেমন বিচকুর পরিবারের সদস্যরা শামিল হয়, তেমনি দুর্গা পূজাতেও শামিল হচ্ছে মুসলিম পরিবারের সদস্যরা।

যে পরিবারের উদ্দেশ্যে পুজো সেই পরিবারের সদস্য সায়ন্তনের অভিমত, আমাদের পাড়া একটা পরিবারের মতো। এখানে কে হিন্দু, কে মুসলিম তা আমাদের কাছে গৌণ। মুখ্য বিষয় হলো, মানুষ হয়ে একে অপরের পাশে থাকতে পারছি কি না!

তৌসিফ জানান, যারা তাদের প্রতিবেশী তাদেরও অধিকার আছে পুজো করার। আর সেই অধিকারের সম্মান দিতে এই পুজো। তিনি আরও জানান, ‘এই পুজো নতুন কিছু নয়। বহু বছর ধরেই হয়ে আসছে কিন্তু অনেক মানুষ এখান থেকে চলে গেছেন তার পরে হঠাৎ করে পুজো বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে আমরা ফের চালু করেছি এই পুজো।’ অন্য পাড়ার ঘোষ কিংবা অন্য পরিবার নয়, চাঁদাও আসে ৩০ নম্বর পার্টের মুসলিম পরিবার থেকেই, জানান তৌসিফ।

সর্বশেষ খবর