রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইলনকে পছন্দ করি, তবে আমি ট্রুথেই থাকব : ট্রাম্প

ইলনকে পছন্দ করি, তবে আমি ট্রুথেই থাকব : ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্ক টুইটারের দখল নেওয়ার পরও নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটার অধিগ্রহণের আগে থেকেই মাধ্যমটিতে ট্রাম্পকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের সমালোচক ছিলেন মাস্ক। ‘ইলনকে আমি পছন্দ করি, তবে ট্রুথেই থাকছি।’ —শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন ট্রাম্প। অ্যাকাউন্ট ফিরে আসা বা এলেও টুইটারে আর কখনো পোস্ট করবেন কি না - এসব বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, তিনি যখন নিজের প্ল্যাটফর্মে কিছু পোস্ট করেন, তা এমনিতেই অন্যান্য জায়গায় চলে যায়। ‘টুইটার ও অন্যান্য জায়গায় যারা আছেন, তারা সবাই এমনিতেও সেখানে এগুলো দিয়ে দেন।’ ২০২১ সালে ৬ ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের সমর্থকরা ইউএস ক্যাপিটলে আক্রমণ চালানোর পর প্ল্যাটফর্ম থেকে তাকে নিষিদ্ধ করে টুইটার।

মাস্ক তার অ্যাকাউন্ট ফেরানোর কথা বললেও পরবর্তীতে এতে আর না ফেরার কথা জানান তিনি। নিজেকে বাক স্বাধীনতার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দাবি করা মাস্ক, বৃহস্পতিবার টুইটার অধিগ্রহণের পর কোম্পানির বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার চাকরি বরখাস্ত করেন। বিষয়টিকে ‘নৃশংস দক্ষতা’ বলে লিখেছে রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই প্রভাবশালী সামাজিক প্ল্যাটফর্মে মাস্ক কীভাবে নিজের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবেন, ওই বিষয়ে কিছুটা পরিষ্কার ধারণা মিলেছে এতে। টুইটারে মাস্কের নতুন আমল শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই বিভিন্ন বৈশ্বিক নেতা ও নিষিদ্ধ অ্যাকাউন্ট মালিকদের নিষেধাজ্ঞা তোলার অনুরোধ ও দাবিতে তার অ্যাকাউন্ট ‘ভেসে যায়’। এর আগে, মাস্কের অধিগ্রহণের পর নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প বলেন, তিনি খুশি যে টুইটার এখন ‘বোধসম্পন্ন হাতে’ আছে। তবে, নিজেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এই প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প ফিরবেন কি না, ওই বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। ট্রাম্পের বিবেচনায়, তার নিজস্ব প্ল্যাটফর্মই ‘ভালো দেখায় ও কাজ করে।’ ‘আমি ট্রুথ ভালোবাসি।’ —লিখেন তিনি। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টুইটারে যেসব অ্যাকাউন্টে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো হয়তো শিগগিরই উঠে যাবে।

সর্বশেষ খবর