শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৫৬

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৫৬

তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ইন্দোনেশিয়া। এতে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। আহত হয়েছে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিম জাভায়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। ভূমিকম্পটি ৭৫ কিলোমিটার দূরের রাজধানী জাকার্তায়ও অনুভূত হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়াকে এমনিতেই বয়েলিং পট অব আর্থকোয়েক বলা হয়। কেন ইন্দোনেশিয়ায় এত ভূমিকম্প হয়? আসলে এই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ বলে পরিচিত এই কারণে যে, এটি রিং অব  ফায়ারের ওপর অবস্থিত। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে ধাক্কা লাগে।

এখনো পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গেছে, তাতে বড় রকমের বিপর্যয়ই ঘটেছে। এবং হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।

দেশটির জিওফিজিক্স এজেন্সি (বিএমকেজি) জানিয়েছে, পশ্চিম জাভার সিয়ানজুড় শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীর ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। এতে সুনামির কোনো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।

সিয়ানজুড় শহরের প্রশাসনিক প্রধান হারমান শুহেরমান কম্পাস টিভি-কে বলেছেন, ভূমিকম্পে ৫৬ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মানুষ চাপা পড়ে থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, সিয়ানজুড় এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও একটি মাদরাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যোগাযোগও বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানতে কর্মকর্তারা অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন। মেট্রোটিভি থেকে পাওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, সিয়ানজুড়ের বেশ কিছু ভবন প্রায় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন।

বিএমকেজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে পরবর্তী দুই ঘণ্টায় ২৫টি পরাঘাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে ভূমিধসের সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেছে তারা।  ২০০৪ সালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প ও তার প্রভাবে সৃষ্ট সুনামিতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

সর্বশেষ খবর